নীচে আন্তোনেলার সঙ্গে মেসি।
সমর্থকদের টিটকিরি। হারের পর হার। শেষ চার ম্যাচে মাত্র ১ গোল। সঙ্গে এ বার বামবাম জ্বালা। মাঠের মেসির মতো মাঠের বাইরের মেসিকেও বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হচ্ছে।
ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচ হারার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। তার মধ্যেই সাংসারিক অশান্তির মুখে এলএম টেন। আর তার পিছনে বর্তমান মিস বামবাম। যাঁর আসল নাম সুজি কোর্তেজ, এক ব্রাজিলীয় মডেল।
এই সুন্দরী মডেল মেসির ভক্ত। এবং মেসিকে ইন্সটাগ্রামে ছবি পোস্ট করেন। ভ্যালেন্সিয়া যেমন মাঠে তাঁকে চমকে দিয়েছিল, তেমনই ইন্সটাগ্রাম খুলতেই এলএম টেনকে চমকে দেন মিস বামবাম। মেসির অ্যাকাউন্টে নিজের বিভিন্ন লাস্যময়ী ভঙ্গিমার ছবি পোস্ট করে। যার মধ্যে একটা ছবিতে মেসির বার্সা জার্সি গায়ে দিয়ে মহাতারকাকে শুভেচ্ছা জানান কোর্তেজ। পঞ্চম বার ব্যালন ডি’অর জেতার জন্য। আবার আর এক ছবিতে মেসির বুট জোড়া হাতে নিয়ে পোজ দেন কোর্তেজ। এরপরেই যাবতীয় ঝামেলার সৃষ্টি। মেসির অ্যাকাউন্টে এমন সমস্ত ছবি দেখে রেগে যান তাঁর বান্ধবী আন্তোনেলা রোকুজ্জো। সঙ্গে সঙ্গে কোর্তেজকে ব্লক করে দেন তিনি। এর পর মেসিও একই কাজ করেন। হতাশ মিস বামবাম আন্তোনেলাকে ‘হিংসুটে’ বলতেও ছাড়েননি। ‘‘যখন দেখলাম মেসি আমাকে ব্লক করে দিয়েছে, তখন আমি হতবাক হয়ে যাই। আমার মনে হয় আন্তোনেলা অত্যন্ত হিংসুটে। তাই এ ব্যাপারটা ঘটেছে। না হলে চার লক্ষ ফলোয়ারের মধ্যে আমাকেই কেন ব্লক করবে।’’
আরও পড়ুন: কে এই ‘মিস বামবাম’?
ব্লকড হলেও মেসির প্রতি তাঁর ভালবাসা অবশ্য কমেনি। এলএম টেনের জার্সি পরে আরও ফটো পোস্ট করতে থাকেন কোর্তেজ। সঙ্গে তাঁর এটাও দাবি, তিনি মেসির অন্ধভক্ত বলেই ছবিগুলো পোস্ট করেন।
পাশাপাশি রবিবার ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হারের পরে মেসিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তাঁর প্রিয় বার্সা সমর্থকরাই। ন্যু কাম্প ছাড়ার সময় আর্জেন্তিনীয় মহাতারকার গাড়ির পাশে তখন দাঁড়িয়ে শ’খানেক বার্সা সমর্থক। দলের এই আকস্মিক পতনের জন্য প্রতিবাদ করে চলেছেন তাঁরা। এর মাঝেই এক সমর্থক হঠাৎ কটাক্ষ করে বসেন মেসিকে। এলএম টেন তখন গাড়িতে মাঠ ছাড়ছেন। তাঁকে বার্সা সমর্থক বলে দেন, ‘‘তুমি মাঠে যা দৌড়ছ তার চেয়ে এখন বেশি দৌড়চ্ছ।’’
মিস বামবাম।
ইঙ্গিতটা পরিষ্কার। ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচে খুব বেশি মুভমেন্ট করতে দেখা যায়নি মেসিকে। আর সেই জেরেই ওই কটাক্ষ শুনতে হল মহানায়ককে। তবে সমর্থকদের থেকে মেসির কটাক্ষ শোনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও অনেক বার এমন হয়েছে যখন বার্সার হারের সমস্ত কটূক্তি শুনতে হয়েছে তাঁকেই। কয়েক বছর আগেও রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে হারের পরে একজন বার্সা সমর্থক মেসিকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, ‘‘তুমি কী করেছ আমাদের ক্লাবের জন্য?’’
তবে এ বার বার্সার এত খারাপ অবস্থা নিয়ে ফুটবলবিশ্বই স্তম্ভিত। কিছু দিন আগে পর্যন্তও ইউরোপিয়ান ত্রিমুকুট জেতার দাবিদার থেকে এখন আশঙ্কা শূন্য হাতে না স্বপ্নের ফরোয়ার্ড লাইন এমএসএন-কে এই মরসুম শেষ করতে হয়! বার্সার প্রাক্তন মাঝমাঠ তারকা যিনি এক সময় কাতালুনিয়ার হার্টথ্রব হয়ে উঠেছিলেন সেই লুইস ফিগো বলছেন, ‘‘দলের পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করে কোনও ক্লাব। বার্সেলোনায় যা চলছে সেটা স্বাভাবিক নয়। লিগ এখন অনেক বেশি ওপেন হয়ে গিয়েছে। যে কোনও কিছুই ঘটতে পারে। তা বলে দলের ফুটবলারদের প্রতিভা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। মাঝেমাঝে এমন হয় যখন সব কিছু খারাপ যায়। স্পোর্টস মানেই তাই। বার্সেলোনা হারলে আমার ভাল লাগার কিছু নেই। আমি পাঁচটা খুব ভাল বছর কাটিয়েছিলাম ওখানে।’’