রোনাল্ডোকে নিষ্প্রভ করে ইউরোপ সেরার মুকুট মেসির

মেসি ১ রোনাল্ডো ০। ক্লাবের ট্রফি যুদ্ধ সবে শুরু হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত লড়াইয়ের ‘রেজাল্ট’ বার হওয়া বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হয়ে গেল। যখন রোনাল্ডোকে পিছনে ফেলে দিলেন লিওনেল মেসি। স্প্যানিশ ত্রিমুকুট জয়ী বার্সা দলের অপ্রতিরোধ্য এই আর্জেন্তিনা তারকা জিতে নিলেন ইউরোপ সেরা ফুটবলারের মুকুট।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৫ ০৪:০২
Share:

প্লাতিনির হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন মেসি। পিছনে রোনাল্ডো। বৃহস্পতিবার মন্টে কার্লোয়। ছবি: এএফপি।

মেসি ১

Advertisement

রোনাল্ডো ০।

ক্লাবের ট্রফি যুদ্ধ সবে শুরু হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত লড়াইয়ের ‘রেজাল্ট’ বার হওয়া বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হয়ে গেল। যখন রোনাল্ডোকে পিছনে ফেলে দিলেন লিওনেল মেসি। স্প্যানিশ ত্রিমুকুট জয়ী বার্সা দলের অপ্রতিরোধ্য এই আর্জেন্তিনা তারকা জিতে নিলেন ইউরোপ সেরা ফুটবলারের মুকুট। টিভি ক্যামেরায় তখনই ধরা পড়ল তাঁর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখটা। যতটা জৌলুস তাঁর পোশাকে ছিল, ততটাই নিষ্প্রভ ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মুখ। দেখে মনে হবে যেন এখন থেকেই ধরে নিয়েছেন ব্যালন ডি’অরটাও হাতের বাইরে বেরিয়ে যাবে।

Advertisement

ইউরোপের সেরা ফুটবলার হয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত মেসি বলে দিলেন, ‘‘আমি খুব খুশি। দলের সাহায্য পাশে ছিল বলেই জিততে পারলাম।’’ রোনাল্ডোর মুখ ফ্যাকাসে হলেও তিন জনের চূড়ান্ত তালিকায় থাকা লুই সুয়ারেজ অবশ্য তাঁর সতীর্থর ইউরোপ সেরা হওয়া নিয়ে খুশি।

রোনাল্ডোর ব্যথা এখানেই শেষ হয়নি। ২০১৫-১৬ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ বিন্যাসের পরে আবার সিআর সেভেনের সামনে এমন এক জন, যিনি চোখধাঁধানো গোল করার মেশিন। আরও ভাল ভাবে বললে জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ!

লিগের গ্রুপ বিন্যাসের পরে এখন থেকেই অপেক্ষা শুরু প্যারিস সাঁ জাঁ বনাম রিয়াল মাদ্রিদের লড়াই নিয়ে। পুরনো শত্রুকে পেয়ে আগাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা উসকে দিল প্যারিস। ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে ১৯৯২-৯৩ মরসুমের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়ালকে ৪-১ হারানোর ছবি দিয়ে পোস্ট করা হয়, ‘মনে আছে তো রিয়াল!’ প্যারিস যাই পোস্ট করুক না কেন, ইব্রাহিমোভিচ বোধহয় বেশি খুশি তাঁর দেশজ ক্লাব মালমোর বিরুদ্ধে খেলতে পারার সুযোগ পেয়ে। যারা একই গ্রুপে রয়েছে। কিছু দিন আগেই ইব্রা টুইট করেছিলেন, ‘‘এক দিন আমি মালমোর মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার অনুভূতি পেতে চাই।’’

প্যারিস থেকে তাতানো হলেও রিয়াল শিবিরও চ্যালেঞ্জ সামলাতে তৈরি। গ্যারেথ বেল যেমন বলেছেন, ‘‘আর অপেক্ষা করতে পারছি না। আমরা তৈরি।’’ রিয়াল বনাম সাঁ জাঁ ছাড়াও গ্রুপ পর্বে দুই ধুরন্ধর কোচের মগজাস্ত্রের ল়ড়াইও দেখা যাবে। পেপ গুয়ার্দিওলা বনাম আর্সেন ওয়েঙ্গারের টক্কর নিয়ে ইতিমধ্যেই ফুটবলবিশ্বে আলোচনা শুরু করে গিয়েছে। গত কয়েক মরসুমে বায়ার্ন হয়ে উঠেছে আর্সেনালের অপয়া। যত বার দেখা হয়েছে আর্সেনালের স্বপ্ন শেষ করেছে বায়ার্ন। এই দুটো ম্যাচ ছাড়া আবার গত বারের রানার্স আপ জুভেন্তাসের সামনে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। যে গ্রুপে রয়েছে সেভিয়াও। অর্থাত্ মারণগ্রুপের আখ্যাটা অনায়াসে পাশে বসিয়ে দেওয়া যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement