—ফাইল চিত্র
শ্রীলঙ্কা সফরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার মইন আলি। যে কারণে সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। তবে ভারতের বিরুদ্ধে পুরোপুরি করোনামুক্ত হয়েই নামতে চলেছে ইংল্যান্ড। জো রুটদের ‘পিসিআর’ পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে দলের সব সদস্যের রিপোর্টই ‘নেগেটিভ’ এসেছে। দলের মিডিয়া ম্যানেজার জানিয়েছেন, আজ, মঙ্গলবার থেকেই চেন্নাইয়ে অনুশীলনে নেমে পড়ছে পুরো দল।
বছর আটেক আগে অ্যালেস্টেয়ার কুকের দল এসে ভারতের মাটি থেকে যে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল, সেখানে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন দুই স্পিনার— গ্রেম সোয়ান এবং মন্টি পানেসর। এ বারও অধিনায়ক রুটের হাতে দুই স্পিনার আছে। অফস্পিনার ডম বেস এবং বাঁ-হাতি স্পিনার জ্যাক লিচ। সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সফরে দু’টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়া লিচ এখন মুখিয়ে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জ সামলানোর জন্য। যে ব্যাটিংকে এই স্পিনার কাগজে-কলমে বিশ্বের সেরা বলছেন।
এ দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে লিচ জানিয়েছেন, তাঁরা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং খুঁটিয়ে, খুঁটিয়ে দেখেছেন। লিচের কথায়, ‘‘ভারতীয় ব্যাটিং লাইনে বেশ কয়েক জন ডান-হাতি ব্যাটসম্যান আছে। আমার দিক দিয়ে দেখলে সেটা একটা ভাল ব্যাপার। জানি, ভারতীয়রা স্পিনের বিরুদ্ধে দারুণ শক্তিশালী। তবে আমি নিজের শক্তি অনুযায়ী বল করতে চাই।’’
নাসের হুসেনের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের যে দল ২০০১-০২ মরসুমে ভারত সফরে এসেছিল, সেখানে বাঁ-হাতি স্পিনার ছিলেন অ্যাশলে জাইলস। সচিন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র সহবাগদের বিরুদ্ধে লেগস্টাম্প বা তার বাইরের লাইনে বল করে সফল হন জাইলস। দু’টেস্টে ছয় উইকেট নিলেও রান ওঠার গতি আটকে দিয়েছিলেন তিনি। ইকনমি রেট ছিল ১.৮২।
এ বারও কি সে রকম কিছু দেখা যেতে পারে? লিচের জবাব, ‘‘দেখা যেতেই পারে। শ্রীলঙ্কায় আমরা এ ব্যাপারে কথা বলেছি। কোন অ্যাঙ্গলে বল করা উচিত, পরিস্থিতি অনুযায়ী লাইন ঠিক করা, এ সব নিয়ে কথা হয়েছে। জাইলস ওই লাইনে বল করে সফল হয়েছিল। তবে আমি রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করে ব্যাটসম্যানকে আউট করার বেশি চেষ্টা করি।’’ তা হলে কি নাসের হুসেনের ‘লেগট্র্যাপ’ কাজে লাগাবেন? লিচের জবাব, ‘‘আমি নিজের শক্তির উপরে জোর দিতে চাই। তবে সিরিজের কোনও সময়ে কৌশলটা কাজে লাগানো যেতেই পারে।’’