লিয়েন্ডার রেকর্ডের জন্য না খেললেই পারত

প্রথমেই বলে দিতে চাই, রিওতে শনিবার লিয়েন্ডারদের প্রথম রাউন্ডেই এ ভাবে হারতে দেখে অবাক হইনি। কুবোট আর মাটকোস্কির পোলিশ জুটির কাছে লিয়েন্ডার আর রোহন বোপান্না ৪-৬, ৬-৭ (৬-৮) হারটা অবশ্য অনেকের কাছে শকিং লাগতে পারে।

Advertisement

জয়দীপ মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৬ ০৪:১১
Share:

তখনও ম্যাচ চলছে

প্রথমেই বলে দিতে চাই, রিওতে শনিবার লিয়েন্ডারদের প্রথম রাউন্ডেই এ ভাবে হারতে দেখে অবাক হইনি।

Advertisement

কুবোট আর মাটকোস্কির পোলিশ জুটির কাছে লিয়েন্ডার আর রোহন বোপান্না ৪-৬, ৬-৭ (৬-৮) হারটা অবশ্য অনেকের কাছে শকিং লাগতে পারে। কিন্তু একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে অলিম্পিক্সে এ রকম টপ পোলিশ টিমের বিরুদ্ধে খেলার মতো যথেষ্ট প্রস্তুতি লিয়েন্ডারদের ছিল না। ৪৮ ঘণ্টাও তো হয়নি লিয়েন্ডার রিওতে পা রেখেছে। বোপান্নার সঙ্গে প্র্যাকটিস করার, পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময়টা পেল কোথায়! অলিম্পিক্সের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার আগে একটা টুর্নামেন্টও লিয়েন্ডার-বোপান্নাকে জুটিতে খেলতে দেখা যায়নি। সেটাও কিন্তু একটা ফ্যাক্টর।

অনেকে বলতে পারেন, গত মাসেই তো কোরিয়ার বিরুদ্ধে লিয়েন্ডার-বোপান্না জুটি ডেভিস কাপ ডাবলস জিতে ভারতকে প্লে অফে তুলেছে। তা হলে? কিন্তু কোরিয়ার সেই দুর্বল জুটির সঙ্গে মাটকোস্কি-কুবোটের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষ তুলনাতেই আসে না। গত মাসেই মাটকোস্কি আবার উইম্বলডনে পার্টনার ছিল লিয়েন্ডারের। ও খুব ভাল করে জানে লিয়েন্ডারের খেলা। তাই দারুণ প্রস্তুতি নিয়েই যে শনিবার নেমেছিল ওরা সেটা ওদের পারফরম্যান্সেই পরিষ্কার। বোপান্নারা তুলনায় পাল্টা লড়াই করার সুযোগটাই পায়নি। তার আগেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছে পোলিশ জুটির কাছে।

Advertisement

লিয়েন্ডারের দেশের জন্য অনেক অবদান আছে। প্রচুর সম্মান ও ভারতকে এনে দিয়েছে। কিন্তু সাত নম্বর অলিম্পিক্সে নামার রেকর্ডটা করতে গিয়ে কোথাও যেন ওর মধ্যে একটা ঢিলেমি নজরে পড়ল। না হলে রিওতে খেলার আগে আরও ভাল প্রস্তুতি নিতে দেখতে পারতাম। কোর্টে নামার দু’দিন আগে রিওতে পৌঁছে ভাল প্রস্তুতি নেওয়া যায় না। তাই আমার মনে হয়, লিয়েন্ডার রেকর্ডের জন্যই রিওতে না খেললেই বোধহয় পারত। বরং আমি তো বলব লিয়েন্ডারের এ বার প্লেয়ার থেকে নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। জানি না এর পরের বারের অলিম্পিক্স টিম কী হবে ভারতের। তবে লিয়েন্ডারের যা অভিজ্ঞতা তাতে ও পরের বার অলিম্পিক্সে ভারতের কোচের জায়গাটা নিতে পারে। লিয়েন্ডারকে সেই ভূমিকাতেই দেখতে চাইছি।

কথাটা এই জন্যই বলছি কেন না এ বার কিন্তু অলিম্পিক্সের মতো ইভেন্টগুলোতে আমাদের সামনের দিকে তাকানোর সময় এসে গিয়েছে। তেতাল্লিশের লিয়েন্ডার বা ছত্রিশের বোপান্নার পর কে দেশের পতাকা তুলে ধরার যোগ্য, সেই প্রশ্নটার উত্তরও খুঁজে রাখতে হবে। অনেকে এই প্রশ্নও তুলতে পারেন লিয়েন্ডারের বদলে যদি বোপান্নার দাবি মেনে সাকেত মিনেনিকে সুযোগ দেওয়া হত, তা হলে ফল কি অন্য রকম হত না? সেটা বলা মুশকিল। হয়তো সাকেত সুযোগ পেলেও একই ফলই হত। কিন্তু জুনিয়র প্লেয়ারদের দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। আরও সুযোগ দিতে হবে। হারতে হতেই পারে, কিন্তু আন্তর্জাতিক ইভেন্টে নামার অভি়জ্ঞতাটা তো হবে। যেটা পরের বার জুনিয়ররা কাজে লাগাতে পারবে। তাতে আখেরে কিন্তু লাভ হবে দেশের টেনিসেরই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement