হতাশা: দ্বিতীয় গেমে ঘুরে দাঁড়িয়েও জিততে পারলেন না লক্ষ্য। টুইটার
অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপে কনিষ্ঠতম ভারতীয় খেলোয়াড় হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ ছিল লক্ষ্য সেনের। সিঙ্গলসে ভারতের পুরুষ খেলোড়দের মধ্যে তিনিই এক মাত্র কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার শেষ আটেই থেমে গেল তাঁর অভিযান। পাশাপাশি ছিটকে গিয়েছে মেয়েদের ডাবলস জুটিও।
১৯ বছর বয়সি লক্ষ্যের বিশ্বর্যাঙ্কিং ২৮। তাঁর প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসের মার্ক ক্যালেজৌ-এর বিশ্ব র্যাঙ্কিং ৩৬। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য হারেন ১৭-২১, ২১-১৬, ১৭-২১। ম্যাচের শুরু থেকেই লক্ষ্য দুরন্ত কয়েকটি উইনারের মাধ্যমে মার্ককে চাপে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাব এবং নিখুঁত শট না মারতে পারার খেসারত দিতে হয় লক্ষ্যকে। মার্ক র্যালিতে নিয়ন্ত্রণ রেখে আক্রমণাত্মক ছিলেন আগাগোড়া। তবু প্রথম গেমে হারের পরে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন লক্ষ্য। তবে তৃতীয় গেমে লক্ষ্য এক সময় ৬-১১ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিলেন। এর পরে তিনি উঠে দাঁড়ানোর প্রবল চেষ্টা করে ১৬-১৬ করেন। কিন্তু মাথা ঠান্ডা রেখে এর পরে মার্ক সেমিফাইনালের জায়গা পাকা করে নেন।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৩০ নম্বর মেয়েদের ডাবলস জুটি অশ্বিনী পোনাপ্পা এবং এন সিকি রেড্ডি ২২-২৪, ১২-২১ হারেন নেদারল্যান্ডসের সেলিনা পিয়েক ও শেরিল সেইনেনের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় রাউন্ডেই অশ্বিনীরা বুলগেরিয়ার বিশ্বের ১৩ নম্বর জুটি গ্যাব্রিয়েলা এবং স্টেফানি স্টোয়েভাকে হারিয়েছিলেন। কিন্তু এই ম্যাচে তাঁরা সেই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেননি। প্রথম গেমে এক সময় ১২-১৫ পিছিয়ে ছিল ভারতীয় জুটি। এর পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাঁচটি গেম পয়েন্ট পান অশ্বিনীরা। কিন্তু কোনওটাই কাজে লাগাতে পারেননি তাঁরা। ডাচ জুটি এক বার সুযোগ পেয়েই গেম জিতে নেন। দ্বিতীয় গেমে শুরু থেকেই চাপ রেখে ম্যাচ জিতে নেয় ডাচ জুটি।
বিশ্বের ১০ নম্বর ভারতের পুরুষদের ডাবলস জুটি সাত্ত্বিকসাইরাজ রনকিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টি দ্বিতীয় রাউন্ডেই ছিটকে যান ডেনমার্কের কিম আস্ট্রুপ ও অ্যান্ডার্স রাসমুসেনের বিরুদ্ধে। যাঁরা বিশ্বের ১৩ নম্বর। সুইস ওপেনের পরে একই জুটির বিরুদ্ধে টানা দ্বিতীয় বার হারলেন সাত্ত্বিকরা। পুরুষদের সিঙ্গলসে দ্বিতীয় রাউনন্ডে ছিটকে গিয়েছেন সমীর বর্মাও। তৃতীয় বাছাই অ্যান্ডার্স অ্যান্টোনসেনের বিরুদ্ধে। ফল ২২-২০, ২১-১০। এ ছাড়া ভারতের মিক্সড ডাবলস জুটি ধ্রুব কপিলা এবং মেঘনা জাক্কামপুডিও ছিটকে গিয়েছেন ১৯-২১, ৮-২১-এ ডেনমার্কের নিকলাস নোর ও অ্যামেলি ম্যাগেলান্ডের বিরুদ্ধে লড়তে নেমে।
এ দিকে কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর ও শীর্ষবাছাই জাপানের কেন্তো মোমোতাকে হারিয়ে চমকে দিলেন ষষ্ঠ বাছাই মালয়েশিয়ার লি জিয়া। ফল ১৬-২১, ১৯-২১। গত বছর জানুয়ারিতে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন মোমোতা। পরে জাপানি তারকাকে চোখে অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছিল। এই প্রতিযোগিতাতেই প্রত্যাবর্তন ঘটান তিনি। তাই হয়তো তাঁর খেলায় ম্যাচ প্র্যাক্টিসের অভাব বোঝা যাচ্ছিল। প্রতিপক্ষের গতির সঙ্গে তাল রাখতে না পেরেই হারেন মোমোতা।