লক্ষ্মীপতি বালাজি। —ফাইল চিত্র
আইপিএল চলাকালীন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন লক্ষ্মীপতি বালাজি। চেন্নাই সুপার কিংস দলের বোলিং প্রশিক্ষক আপাতত সুস্থ। বালাজি ছাড়াও চেন্নাই দলে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মাইক হাসি। তিনিও সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে গিয়েছেন। কী ভাবে সংক্রমিত হয়েছিলেন বালাজি? কেমন ভাবে কাটল তাঁর নিভৃতবাসের সময়? জানালেন ভারতের প্রাক্তন জোরে বোলার।
বালাজি বলেন, “একাই থাকছিলাম। মাথার মধ্যে ঘুরছিল করোনার কথা। ২ মে শরীরে ব্যথা অনুভব করি। নাকও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। করোনা পরীক্ষা করা হয়। পরের দিন সকালে ফল আসে পজিটিভ। আঁতকে উঠেছিলাম। খালি মনে হচ্ছিল আমি তো জৈব বলয় ভাঙিনি। আমার কী করে হল? সমস্ত নিয়ম মেনেও আক্রান্ত হয়ে গেলাম। সেরে ওঠার গোটা পর্বটার সঙ্গে শুধু ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’-এর তুলনা করা চলে।”
মুম্বই থেকে ২৬ এপ্রিল দিল্লি পৌঁছেছিল চেন্নাই দল। বালাজি বলেন, “দিল্লি পৌঁছনোর দিন আমাদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। পরের দিন আবার পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ১ মে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলি আমরা। আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আমার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে। ভেবেছিলাম করোনা সংক্রমণ হতেই পারে না আমার। ৩ মে করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে আমাদের কয়েকজনের। প্রত্যেকের আবার পরীক্ষা করা হয়। দ্বিতীয় বারেও আমার ফল পজিটিভ আসে। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে দলের থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়।”
ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন বালাজি? চেন্নাইয়ের বোলিং প্রশিক্ষক বলেন, “শুরুতে পেয়েছিলাম। চারিদিকে মানুষ মারা যাচ্ছে। বাড়ির লোকজন, বন্ধুরা খোঁজ নিতে শুরু করে। আমারও চিন্তা হয়। দ্বিতীয় দিন থেকে বুঝতে পারি নিজের দিকে নজর দিতে হবে। শরীরে কী হচ্ছে পর্যালোচনা করতে হবে। চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম।”
কী ভাবে করোনা সংক্রমণ হল, বুঝতে পারছেন না বালাজি। বলেন, “দিল্লিতে সব নিয়ম মেনেই চলছিলাম আমরা। অনুশীলনের মাঠ থেকে এল, নাকি রোসানারা ক্লাব থেকে? বুঝতে পারছি না। সেখানে তো অনেকেই ছিল, শুধু আমি আর হাসি কী করে করোনা আক্রান্ত হলাম?”