চর্চায়: সিএবিতে লক্ষ্মীরতন। চলছে তাঁকে নিয়ে জল্পনা।
বুধবার সিএবি-র বার্ষিক সাধারণ সভায় লক্ষ্মীরতন শুক্লের হাজির থাকা নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন ঘুরতে শুরু করেছে যে, লক্ষ্মী কি ফের ময়দানমুখী? তাঁকে কি অদূর ভবিষ্যতে খেলার মাঠে অন্য কোনও ভূমিকায় দেখা যেতে পারে?
লোঢা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে ক্রিকেট প্রশাসনে আসার ব্যাপারে বিধিনিষেধ রয়েছে। লক্ষ্মী ক্রিকেট সংসার ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। নির্বাচনে জিতে মন্ত্রীও হয়েছেন। রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তিনি। এই অবস্থায় তাঁর পক্ষে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কোনও পদে থাকা সম্ভব নয়। সেই কারণে কৌতূহল তৈরি হয়েছে আরও বেশি করে যে, দ্রুতই নতুন কোনও নাটকের পর্দা উঠতে দেখা যাবে কি না।
ইতিমধ্যেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে দেখা করা, নয়াদিল্লিতে অরুণ জেটলির মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ, বঙ্গ বিজেপি-র মুখ হয়ে ওঠার জল্পনা, নানা রকম চর্চা চলছে সৌরভকে নিয়ে। নাটকে নতুন মশলা যোগ হয়েছে লক্ষ্মীর সিএবি আসা নিয়ে। তাঁরও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। নানা জল্পনা চলছে। যদিও লক্ষ্মীকে এ নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি নাটকীয় কিছুর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন। বলেন, ‘‘ইডেন আমার সেকেন্ড হোম। এত বছর ধরে বাংলার হয়ে খেলেছি। সময় পেলেই ইডেনে যেতে চাই। আর সিএবি-র বার্ষিক সাধারণ সভায় গিয়েছিলাম, ভোটার হিসেবে। প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হওয়ায় সিএবি-তে আমার ভোট রয়েছে।’’ মাঠে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। লোঢা সুপারিশ অনুযায়ী, রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় লক্ষ্মী রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় পদাধিকারি না হতে পারলেও যে-হেতু ভারতের হয়ে খেলেছেন, ভোটাধিকার রয়েছে। তবে তিনি যা-ই বলুন না কন, জল্পনা এবং কৌতূহল থেকেই যাচ্ছে। লোঢা নিয়মে পরিষ্কার বলা আছে, মন্ত্রীত্বে থাকলে ক্রিকেট সংস্থায় থাকা চলবে না। যে কারণে অনুরাগ ঠাকুরদের মতো রাজনৈতিক নেতাদের বোর্ড ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। আবার নির্বাচনহীন বার্ষিক সাধারণ সভায় হঠাৎ করে শুধু ভোটদানের অধিকার দেখাতেই বা লক্ষ্মী আসতে যাবেন কেন, সেই প্রশ্নও উঠছে। বাংলার ক্রিকেটে ফের লক্ষ্মীলাভ হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।