চর্চায়: আবার বিতর্কে জড়ালেন ইব্রাহিমোভিচ। ফাইল চিত্র
লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সির মিডফিল্ডার জোয়াও পেদ্রো মারাত্মক অভিযোগ আনলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবে তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচের বিরুদ্ধে। ২০১৮-র মেজর লিগ সকারে শেষ ম্যাচে হারের পরে সুইডিশ মহাতারকা নাকি রীতিমতো খুনের হুমকি দিয়েছিলেন সতীর্থদের।
ঠিক কী বলেছিলেন ‘চির-বিতর্কিত’ ইব্রাহিমোভিচ? পেদ্রোর কথায়, ‘‘খেলা শেষ হওয়ার পরে ও (ইব্রা) রীতিমতো গলা চড়িয়ে আমাদের কিছু বাজে কথা শুনিয়েছিল।’’ পেদ্রোর দাবি, সুইডিশ তারকা সে দিন বলেছিলেন, ‘‘আমাকে শুধু বলো যে, তোমরা এখানে সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য এসেছ কি না। না হলিউড দেখতে এসেছ? মনে রাখবে, আমার ব্যাঙ্কে ৩০০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে। একটা আস্ত দ্বীপের আমি মালিক। তাই তোমাদের মতো ও সবের আমার দরকার পড়ে না। আর তোমাদের মধ্যে প্রথম যে ‘হ্যাঁ’ বলবে তাকে আমি খুন করে ফেলব।’’
কী হয়েছিল সেই ম্যাচে? পেদ্রো জানাচ্ছেন, ২-০ এগিয়ে থেকেও তাঁদের ক্লাব ম্যাচটা হেরে গিয়েছিল হিউস্টন ডায়নামোর কাছে। সেটাই ছিল লিগের শেষ ম্যাচ। তা-ও লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সির ঘরের মাঠে। সে বার ইব্রাদের ক্লাব সমর্থকদের চূড়ান্ত হতাশ করে লিগ শেষ করে ত্রয়োদশ স্থানে। যেটা মেনে নিতে পারেননি সুইডিশ মহাতারকা। যার জন্য শেষ ম্যাচের পরে সতীর্থদের উপরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ইব্রা অবশ্য এখন ইটালিতে এসি মিলানে খেলছেন। মেজর সুপার লিগে দু’মরসুম খেলে তাঁর মোট গোল ৫২টি। আর পেদ্রোকে লোন-এ নিয়েছে পর্তুগালের ক্লাব তোনদেলা।
আরও পড়ুন: বাবার সঙ্গে বাইক-ভ্রমণ জিভার
তবে বিতর্কিত ইব্রার প্রশংসা শোনা গিয়েছে ম্যান ইউ তারকা মার্কাস রাশফোর্ডের মুখে। ২০১৬-১৭ মরসুমে তিনি খেলেছিলেন সুইডিশ তারকার সঙ্গে। সেই প্রসঙ্গ টেনে রাশফোর্ড বলেছেন, “আমাকে সব চেয়ে আকর্ষণ করেছিল ইব্রার মানসিকতা। নিজের প্রতি বিশ্বাস এতটাই বেশি ছিল যে, তাঁকে নিয়ে কে কী বলছেন, তা নিয়ে মাথাই ঘামাতেন না। ওই মরসুমে ইব্রা ২৮টি গোল করেছিলেন। রাশফোর্ড জানিয়েছেন, ইব্রার সেই একরোখা মানসিকতাই তিনি রপ্ত করার চেষ্টা করতেন এবং মাঠে তার সুফলও পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সহমর্মিতা শিখছেন কোহালি
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)