নয়া চমক নিয়ে এল কোকাবুরা। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
ক্রিকেটজগতে বিপ্লব আনতে চলেছে ক্রীড়া সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থা কোকাবুরা। আলো জ্বলা বেলের পর এ বার তাদের নতুন উদ্যোগ স্মার্ট বল।
এই বলে থাকছে মাইক্রোচিপ, যার মাধ্যমে আরও নির্ভুল ভাবে বলের গতি-সহ অন্যান্য বিষয়ে জানা যাবে। প্রস্তুতকারী সংস্থার দাবি, এই বলের মাধ্যমে বোলারের হাত থেকে বল বেরানোর সময় তার গতি থেকে ব্যাটসম্যানের কাছে পৌঁছনোর সময় তার গতি, সবটাই নির্ণয় করা যাবে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ান বিগ ব্যাশে এই বলের ব্যবহার হবে।
আলো জ্বলা বেল থেকে হেলমেটে ক্যামেরা, এই সব কিছুই প্রথম বার দেখা গিয়েছিল বিগ ব্যাশে। এ বার তাতে নতুন সংযোজন স্মার্ট বল।
এই অভিনব উদ্যোগের নেপথ্যে আছেন বেন টাটারসফিল্ড নামক এক প্রযুক্তিবিদ। কোকাবুরার যোগাযোগ বিভাগের প্রধান শ্যানন গিল বলেন, “এখন থেকে মাঠে শুধু খেলোয়াড় না, বলও কথা বলবে। এর আগে ক্রিকেটবিশ্ব কোনও দিনই এই ভাবে খেলা দেখেননি। এই বলের আবিষ্কার ক্রিকেট দেখা এবং খেলা দু’টি বিভাগেই বিপ্লব ঘটাবে।”
আরও পড়ুন: স্বার্থসংঘাত প্রশ্নে মুক্তি দ্রাবিড়ের
আরও পড়ুন: ‘গোটা পাকিস্তান কাশ্মীরি ভাইদের পাশে আছে’, বললেন সরফরাজ
এই প্রযুক্তি বলের আচরণে কোনও আলাদা প্রভাব ফেলবে না বলেও দাবি সংস্থার। সাধারণ কোকাবুরা বলের মতোই এই বল আচরণ করবে।
এই বলের পরিকল্পনা কোথা থেকে এল জানতে চাইলে শ্যানন এক মজাদার ঘটনার কথা জানান। তিনি বলেন, “বেন নিজে এই আইডিয়া নিয়ে আসে আমাদের কাছে। ও গলফ খেলার সময় প্রচুর পরিমাণে বল হারাত। সেখান থেকে বলের মধ্যে ব্লু-টুথের মাধ্যমে বল খোঁজার বিষয়টা আসে ওর মাথায়। গলফ বল নির্মাণকারী সংস্থা ওর এই পরিকল্পনা নাকচ করলে ও আসে আমাদের কাছে এবং শেষ তিন বছর ধরে আমরা এর উপর খাটছি যাতে এটিকে বাস্তবায়িত করা যায়।”
আইসিসি এই নতুন প্রযুক্তি নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহ দেখিয়েছে বলে দাবি করেছেন শ্যানন। যদিও এখনও বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার বাকি রয়েছে বলেও জানান তিনি।