এই উচ্ছ্বাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না কলকাতার। ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লি ২ (মিলন, মালুদা)
কলকাতা ২ (হিউম, লারা)
এই ম্যাচ শেষ হল সমানে সমানে। কিন্তু ম্যাচের ৬৩ মিনিটে মিলন সিংহর যে গোলটি দিল্লিকে সমতায় ফেরাল সেটা লেখা থাকবে আইএসএল-এর রেকর্ড বুকে। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর দূরপাল্লার শট সঠিক দিকে ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি কলকাতার গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার। তাঁর আগেই মালুদার পেনাল্টি বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন দেবজিৎ। গোল পাল্টা গোলে জমে গিয়েছিল কলকাতা বনাম দিল্লির দ্বিতীয়ার্ধ। প্রথমার্ধটা যদিও ছিল অ্যাটলেটিকো কলকাতারই। দ্বিতীয়ার্ধে ঘরের মাঠে স্বমহিমায় ফিরল দিল্লি। হাল ছাড়েনি কলকাতাও। দু’বার এগিয়ে গিয়ে জয়ের মুখ দেখা হল না মোলিনার দলের।
ম্যাচ শুরুর ১৭ মিনিটের মধ্যেই কলকাতাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ইয়ান হিউম। সামেঘ দ্যুতির বাড়ানো পাস আনাসকে কাটিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল হিউমের কাছে। তার পর পুরোটাই তাঁর সোলো রান। গোলকিপার বেরিয়ে এসেছিল বাইরে। সেই সুযোগে ঠান্ডা মাথায় দিল্লির জালে বল জড়ান তিনি। এর পর একাধিক সুযোগ তৈরি করেন পোস্তিগা। কিন্তু আজ তাঁর দিন ছিল না। ৪৪ মিনিটে জোড়া হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দিল্লির বাদারা বাদজি। ১০ জনের দিল্লিকে পুরো ৪৫ মিনিট পেয়েও জয়ের মুখ দেখতে ব্যর্থ কলকাতা। যদিও পুরো ম্যাচে একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করল কলকাতা।
৭১ মিনিটে কলকাতাকে আবার এগিয়ে দেন জ্যাভিয়ের লারা গ্রান্দে। তার তিন মিনিটের মধ্যেই দিল্লিকে সমতায় ফেরান ফ্লোরেন্ত মালুদা। শেষ মুহূর্তে গোলের সুযোগ চলে এসেছিল বোরহার সামনে। কিন্তু গোল আসেনি। ২-২ গোলেই শেষ হয় দিল্লি বনাম কলকাতা ম্যাচ। বিশ্বমানের গোল করে ম্যাচের সেরা হয়েছেন মিলন সিংহ।
আরও খবর
বিনিথের জোড়া গোলে দুরন্ত জয় কেরলের