বর্ধমানে গৌতম গম্ভীর। —নিজস্ব চিত্র।
আবার আইপিএল ট্রফি জিতবে নাইট রাইডার্স। শুক্রবার বর্ধমানের মালির মাঠে রাজনন্দিনী কাপের প্রধান অতিথি হয়ে এসে নাইট-সমর্থকদের এমনই আশ্বাস দিয়ে গেলেন দলের অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর।
এ দিন দুপুরে নেভি ব্লু টি-শার্ট, ব্লু জিন্স পরে গম্ভীর ঢুকতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। নিরাশ করেননি তিনিও। হুডখোলা চার চাকায় গোটা মাঠে ঘোরেন। দর্শকদের উদ্দেশে হাত নাড়ানো, অভিভাদন কুড়নো তো ছিলই। গাড়িতে চড়েই মাইক হাতে বলেন, ‘‘নাইট রাইডার্স আবার আইপিএল জিতবে।’’ গোট মাঠ ফেটে পড়ে হাততালিতে। উচ্ছ্বাস দেখে গম্ভীর যোগ করেন, ‘‘জেলার একটি খেলায় এত ভিড়, এত দর্শক দেখে ভাল লাগছে। আরও ভাল লাগছে কলকাতার বাইরেও ক্রিকেট নিয়ে এমন উন্মাদনা দেখে।’’
এ বারের প্রতিযোগিতা উপলক্ষে জমকালো ভাবে সাজা হয়েছে মাঠ। পাঁচটি সুসজ্জিত প্যাভেলিয়ন করা হয়েছে। মাঠে শোভা পাচ্ছে দুটি এলইডি স্কোর বোর্ড। আমন্ত্রণমূলক ক্রিকেট প্রতিযোগিতার এমন জৌলুস রাজ্যের বুকে সেরা বলে উদ্যোক্তাদের দাবি। এ দিন কাচে ঘেরা ভিআইপি বক্সে বসে খেলা দেখেন গম্ভীর। এ বার রাজনন্দিনী কাপ সপ্তম বছরে পড়ল। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে ১৬টি দল প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে। গতবার জেতে বর্ধমানের দাস গ্রুপ। আয়োজকদের তরফে দেবাশিস নন্দী জানান, খেলা ৮ ওভারের হয়। তবে সময় কম থাকলে ৬ ওভারেও শেষ করা হয়।
এ দিন কোয়ার্টার ফাইনালের দুটি খেলা হয়। প্রথম খেলায় কলকাতার সোনালি শিবির ৮৯ রানে হারায় হলদিয়া ব্লু স্টারকে। প্রথমে ব্যাট করে সোনালি শিবির ছ’ওভারে ১৩৭-৩ করে। জবাবে ৬ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৮ রানে গুটিয়ে যায় ব্লু স্টার। দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে বর্ধমানের দাস গ্রুপ ৫ উইকেটে হারায় চুঁচুড়া এভারগ্রিন একাদশকে। প্রথমে ব্যাট করে দাস গ্রুপ ৪ ওভারে ৫৮-৩ করে। ৫৩ রানেই শেষ হয়ে যায় এভারগ্রিনের ইনিংস। বৃহস্পতিবার এই খেলার উদ্বোধন করেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমানের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল-সহ বর্ধমানের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষজন।