প্রাক্তন ফুটবলার চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
স্বাধীনতা দিবসে শোকস্তব্ধ কলকাতা ময়দান। রবিবার দুপুরে খড়দহে নিজের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সত্তরের দশকের শুরুতে বাটার হয়ে কলকাতা ময়দানে অভিষেক হয় তাঁর। এর পরে তিনি সই করেন খিদিরপুরে। সেখান থেকেই যোগ দেন মোহনবাগানে। ১৯৭৬ সালে সই করেন ইস্টবেঙ্গলে। ১৯৮০ সালে যোগ দেন মহমেডানে। দু’বছর পরেই লাল-হলুদে ফিরে আসেন। ১৯৮১ সালে মহমেডানের কলকাতা লিগ জয়ের নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি।
১৯৭৪ সালে ইরানকে হারিয়ে এশিয়ার একটি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারতীয় যুব দলের রক্ষণের অন্যতম ভরসা ছিলেন চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়। ১৯৭৮ সালের এশিয়ান গেমসে ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফিতেও খেলেছিলেন। ১৯৮৬ সালে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পরে কোচিংয়ে মন দেন। প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় (পিকে), শ্যাম থাপার সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
শোকাহত শ্যাম থাপা বলেছেন, “চিন্ময়ের ফুটবলবোধ ছিল দুর্দান্ত। ভাবতেই পারছি না ও এ ভাবে চলে যাবে।” আর এক তারকা সমরেশ চৌধুরীর কথায়, “চিন্ময় ফুটবলটা খেলত বুদ্ধি দিয়ে।”
দিন কয়েক আগেই মহমেডানের নতুন জার্সি উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে হয়েছিল মানস ভট্টাচার্যের। তিনি বললেন, “১৯৭৬ সালে একসঙ্গেই আমাদের সন্তোষ ট্রফিতে অভিষেক হয়েছিল। কয়েক দিন আগেও যখন দেখা হয়েছিল, ভাবিনি এত দ্রুত ওর মৃত্যুর খবর শুনতে হবে।” সুব্রত ভট্টাচার্য বললেন, “রাইটব্যাকে অসাধারণ খেলত চিন্ময়।”