দুই ভারতীয় অধিনায়ক। প্রথম জন টেস্টের। দ্বিতীয় জন সীমিত ওভারের। প্রথম জন তাঁর বাগদান ঘিরে দেশব্যাপী জল্পনাকে স্টেপআউট করে বাইরে ফেলে দিলেন। দ্বিতীয় জন আবার খোলাখুলি নয়, লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে নেমে পড়ছেন নিজের নতুন লক্ষ্যে। ক্রিকেটার নয়, সমর্থকের জার্সিতে!
এঁরা বিরাট কোহালি এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। বছরের শেষটা যাঁদের একটু ব্যতিক্রমী হয়েই থাকল।
বৃহস্পতিবার গোটা দিন ধরে বিরাট কোহালি-অনুষ্কা শর্মার বাগদান নিয়ে তীব্র চর্চা চলেছে দেশে। বলাবলি চলেছে, উত্তরাখণ্ডে আগামী ১ জানুয়ারি বাগদান হচ্ছে ‘বিরুষ্কার’। কোহালির পরিবার থেকে ব্যাপারটা অস্বীকার করা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, অনিল অম্বানীর মতো হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিত্বরা গতকালই দেহরাদুনে নেমে পড়ায় কোহালি পরিবারের অস্বীকার কোনও পাত্তা পায়নি। শুক্রবার স্বয়ং কোহালিই নেমে পড়লেন ময়দানে। টুইটারে ভারতীয় টেস্ট অধিনায়ক লিখে দেন, ‘আমাদের বাগদান হচ্ছে না। আর হলে সেটা আমরা লুকোব না। কিছু খবরের চ্যানেল ভুয়ো জল্পনা ছড়ানোর লোভ সামলাতে পারে না। সেগুলো আপনাদের বিভ্রান্ত করে। আমি তাই বিভ্রান্তিটা থামিয়ে দিলাম।’’ অনুষ্কা শর্মা— তিনি আবার বিরাটের টুইটটা রি-টুইট করে দেন। কিন্তু তার পরেও জল্পনা যে নিশ্চিহ্ন, এমন নয়। মিডিয়ার একাংশ আবার খোঁজাখুঁজি করে বার করেছে, অমিতাভদের হোটেল বুকিং ১ জানুয়ারি পর্যন্তই! কোহালিদের চর্চিত বাগদানের দিন।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ব্যাপারটা একটু অন্য রকম। তিনি আসলে নাগপুর যাচ্ছেন। আগামী রবিবার থেকে নাগপুরে গুজরাতের বিরুদ্ধে রঞ্জি সেমিফাইনাল খেলতে নামছে ঝাড়খণ্ড। যে টিমের বেসরকারি মেন্টরের নাম এমএসডি। যা খবর, টিমকে উৎসাহ দিতে নাগপুর যাওয়ার কথা নাকি ভেবেছেন ভারতের সীমিত ওভারের অধিনায়ক। তবে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত হয়তো থাকতে পারবেন না। কারণ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দল নির্বাচনী বৈঠক আছে।