সংশয়: করোনার প্রকোপ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে বিরাটের। ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাসের ধাক্কায় কিছুটা হলেও বদলে যেতে পারে অনেক খেলারই চেহারা-চরিত্র। করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেটের কী অবস্থা হবে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও নেই বিরাট কোহালির কাছে। ভারত অধিনায়ক জানাচ্ছেন, তিনি জানেন না ক্রিকেট আবার শুরু হলে তা বদলে যাবে কি না।
ভারতীয় অফস্পিনার আর অশ্বিনের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম চ্যাট চলার সময় কোহালিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, করোনা পরবর্তী সময়ে কি ক্রিকেটে কোনও পরিবর্তন আসবে? ভারত অধিনায়ক জবাব দেন, ‘‘আমি বুঝতেই পারছি না কী হতে চলেছে। আমরা তো প্র্যাক্টিসেও হাই ফাইভ করি, পিঠ চাপড়ে দিই, হাততালি দিই। সেগুলো করতে পারব না! কত দিন পরে সবার সঙ্গে দেখা হবে। আর আমরা কী করব? হাতজোড় করে নমস্কার করে একে অন্যের থেকে দূরে থাকব।’’
ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি শুরু করা নিয়েও বিশেষ নির্দেশাবলি দিয়েছে আইসিসি। ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, ট্রেনিংয়ের সময় একজন মেডিক্যাল বা স্বাস্থ্য অফিসারকে নিয়োগ করা উচিত। যিনি দেখবেন, সরকারি নির্দেশ মেনে অনুশীলন করা হচ্ছে কি না। এ ছাড়া ম্যাচের আগে নিভৃতে প্রস্তুতি শিবিরের আয়োজন, ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য এবং শরীরের তাপমাত্রার উপরে নিয়মিত নজর রাখা, বিদেশ সফরের অন্তত ১৪ দিন আগে করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা করানো— এ সব কিছু মেনে চলতে হবে। কোহালি বলছেন, ‘‘আমাদের কাছে সবই এখন অদ্ভুত লাগছে। তবে অন্য সব কিছুর মতোই এগুলোও ধীরে ধীরে আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠবে।’’
আরও পড়ুন: ছ’বারে বিশ্বকাপ জয়ের কথায় সন্দেশকে উদ্বুদ্ধ করেন সচিন
আইসিসির ‘গাইডলাইন’-এ আরও বলা আছে, ব্যবহারের আগে ও পরে নিজের ব্যক্তিগত ক্রিকেট সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করতে হবে। আম্পায়ারদের থেকে ক্রিকেটারদের একটা নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকতে হবে। তা ছাড়া নিজের সোয়েটার, সানগ্লাস, টুপি, রুমাল অন্য কারও হাতে দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া বলে থুতু লাগানোর নিষেধাজ্ঞা তো আছেই।
ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার পাশে অতীত নিয়েও মুখ খুলেছেন কোহালি। অধিনায়ক ধোনির কাছে কী ভাবে একবার ‘বকুনি’ খেয়েছিলেন, সেই কথাও বলেছেন বর্তমান ভারত অধিনায়ক। ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের মারা একটা শট আটকাতে গিয়ে রোহিত শর্মা এবং কোহালি ধাক্কা খান। যে বলটায় এক রান হওয়ার কথা, সেখানে তিন রান হয়। তার পরেই বিরক্তি প্রকাশ করেন ধোনি।
যে ঘটনার কথা শুনিয়ে কোহালি বলেন, ‘‘উমর আকমল শটটা খেলেছিল। আমি ডিপ মিড উইকেট থেকে আর রোহিত ডিপ স্কোয়ার লেগ থেকে দৌড়ই বলটা ধরার জন্য। আমার মাথাটা গিয়ে লাগে রোহিতের কাঁধে। মনে আছে, তুমি (অশ্বিন) বোলার ছিলে। ইরফান পাঠান দৌড়ে গিয়ে বলটা ধরে ধোনিকে ফেরত পাঠায়। ধোনির ভাবভঙ্গিতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, ও বলতে চাইছে কী ভাবে এরা এক রানকে তিন রান করতে দেয়!’’
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত ডিঙ্কো