সোমবার বেঙ্গালুরুতে নিলামের ফলাফলে খুশি গম্ভীর।-পিটিআই
আইপিএল নিলাম শেষ হওয়ার পরপরই বেশ কয়েকটা টুইট ভেসে আসে মাইকেল ভন, ইয়ান বেলের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারদের কাছ থেকে। যার মূল বক্তব্য ছিল একটাই— ইংরেজ ক্রিকেটারদের জন্য দুর্দান্ত একটা দিন গেল।
যাবে নাই বা কেন! দশম আইপিএলের নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে যে দু’জন ক্রিকেটার বিক্রি হলেন, তাঁরা দু’জনেই ইংল্যান্ডের। বেন স্টোকস (১৪.৫ কোটি) এবং টাইমাল মিলস (১২ কোটি)। স্টোকসকে তুলে নিল রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টস। মিলস খেলবেন বিরাট কোহালির ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে।
কলকাতা নাইট রাইডার্সও তাদের পছন্দের ক্রিকেটারদের ঘরে তুলে নিতে পেরেছে। নাইটদের স্ট্র্যাটেজি থেকে একটা পরিষ্কার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, গৌতম গম্ভীররা ধরে নিয়েছেন ইডেনের পিচের চরিত্র বদলাচ্ছে। এবং সেই মতো নিজেদের টিমের চরিত্রও বদলে ফেলছে কেকেআর। স্পিন আক্রমণ থেকে আর বেশি গতি নির্ভর হয়ে উঠতে চাইছে তারা। সেই অনুযায়ী সোমবার নিলামে তারা তুলে নিল তিন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট, ক্রিস ওকস ও নাথন কুল্টার নাইলকে। তুলে নিল পেসার-অলরাউন্ডার রভম্যান পাওয়েল, ঋষি ধবনকেও।
আরও পড়ুন-
অটোচালকের সংসারে আলো আনল ক্রিকেট
নিলামের পরে নাইটদের সিইও বেঙ্কি মাইসোর বলছিলেন, ‘‘এখন মনে করা হচ্ছে দেশ জুড়ে উইকেটের চরিত্র বদলে যাচ্ছে। এমনকী ইডেনেও নতুন করে পিচ তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া আমরা যখন বাইরে খেলতে যাই, তখন তো আমাদের আর স্পিনিং পিচে খেলতে দেওয়া হয় না। আমাদের বোলিং আক্রমণ একটু বেশি স্পিন নির্ভর। তাই এ বার ভারসাম্য চেয়েছিলাম।’’
মনে করা হচ্ছে, ইডেনের উইকেটের বদলে যাওয়া চরিত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাইটরাও নিজেদের স্ট্র্যাটেজি বদলে ফেলেছে। কিছু দিন আগে ইংল্যান্ডের সঙ্গে হয়ে যাওয়া ওয়ান ডে-তেও দেখা গিয়েছে ইডেনের উইকেটে বেশ ঘাস ছিল। ক্যারি-বাউন্সও ছিল। নিলামের পরে সঞ্জয় মঞ্জরেকর তো টুইট করেছেন, ‘‘নাইটরা মনে হয় ইডেনে অন্য রকম উইকেট পাবে বলে ভাবছে। তাই হয়তো পেস বোলারদের নেওয়ার দিকে ঝুঁকেছে।’’
মিচেল স্টার্ক সরে যাওয়ায় আরসিবি-র নজর ছিল কোনও ফাস্ট বোলার তোলার দিকে। বিশেষ করে যিনি ডেথ বোলার বিশেষজ্ঞও হবেন। সেই মতো মিলসের জন্য ঝাঁপায় কোহালির দল। সদ্য ইংল্যান্ড-ভারতের টি-টোয়েন্টির লড়াইয়ে ডেথ ওভারে নজর কেড়েছিলেন মিলস। বাংলার মনোজ তিওয়ারিকে নিল পুণে।