কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অন্যতম মালিক নেস ওয়াদিয়ার মতে, নতুন স্পনসর খুঁজতে শুরু করা উচিত বোর্ডের।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের টাইটেল স্পনসর ভিভো চিনের কোম্পানি। গালওয়ান উপত্যকায় সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের জেরে ভারত সরকার সদ্য চিনের ৫৯ অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই আবহে চিনা স্পনসরের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করার দাবি তুললেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অন্যতম মালিক নেস ওয়াদিয়া।
এই ব্যাপারে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে বসার কথা থাকলেও সেই বৈঠক এখনও হয়নি। করোনা পরিস্থিতির কারণে কবে সেই বৈঠক হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে চিনা স্পনসরদের যে বিদায় জানানো উচিত, তা পরিষ্কার করে জানিয়েছেন ওয়াদিয়া। ২০২০ সালে যদি না হয়, তা হলে ২০২১ সালে সম্পর্কে দাঁড়ি টানার চেষ্টা করা দরকার বলে মনে করছেন তিনি। সংবাদ সংস্থাকে ওয়াদিয়া বলেছেন, “দেশের স্বার্থে আমাদের সম্পর্কচ্ছেদ করা উচিত। সবার আগে দেশ। টাকা এখানে গৌণ। আর এটা তো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, চাইনিজ প্রিমিয়ার লিগ তো নয়। উদাহরণ স্থাপন করা উচিত আমাদের। রাস্তা দেখানো উচিত।”
আরও পড়ুন: ‘ওয়ার্নের চেয়ে মুরলীর বলে বৈচিত্র বেশি ছিল’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ গড়াপেটা তদন্তে ছয় ঘণ্টা জেরা অরবিন্দ ডি সিলভাকে
নেস ওয়াদিয়ার মতে, “শুরুতে স্পনসর খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে আমি নিশ্চিত যে ওদের বিকল্প হয়ে ওঠার মতো প্রচুর ভারতীয় স্পনসর রয়েছে। আমাদের জাতি ও সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা উচিত। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা উচিত।” তিনি বোর্ড প্রেসিডেন্ট হলে আইপিএলের জন্য ভারতীয় স্পনসর খুঁজতেন বলেও জানিয়েছেন ওয়াদিয়া। তাঁর কথায়, “আমি যদি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হতাম, তবে আসন্ন মরসুমের জন্য ভারতীয় স্পনসর খোঁজায় মন দিতাম। ভারতীয় কোম্পানিদের এ বার এগিয়ে আসতে হবে। আইপিএলের সুবিধা ও সুযোগের দিকে চাইনিজ কোম্পানিগুলো যে ভাবে তাকায়, ভারতীয় কোম্পানিদেরও সে ভাবে দেখতে হবে। আর এটাই তো বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি লিগ।”
কিন্তু আইপিএলের অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজিতেও তো চিনের কোম্পানি স্পনসরশিপ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে ওয়াদিয়া বলেছেন, “চাইনিজ স্পনসরদের সরিয়ে দেওয়ার জন্যও সময় প্রয়োজন দলগুলোর। আগেই তো বলেছি, প্রচুর ভারতীয় কোম্পানি রয়েছে যারা বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।”
ভিভোর থেকে বছরে ৪৪০ কোটি টাকা পায় বিসিসিআই। ২০২২ সাল পর্যন্ত ভিভোর সঙ্গে চুক্তি রয়েছে বোর্ডের। আইপিএলে চিনের বিনিযোগ রয়েছে, এমন কোম্পানিদের মধ্যে রয়েছে পেটিএম, সুইগি, ড্রিম ১১।