প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নামার আগে প্রস্তুতিতে মগ্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কায়রন পোলার্ড। এপি
ভারতের বিরুদ্ধে আজ থেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। যেখানে তরুণ ব্রিগেড নিয়ে নামতে চলেছেন অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড। আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্রাথওয়েট, ডোয়েন ব্র্যাভো, সুনীল নারাইনদের জায়গায় ১৫ জনের দলে নেওয়া হয়েছে শেরফানে রাদারফোর্ড, খ্যারি পিয়ের, ব্র্যান্ডান কিং, কেসেরিক উইলিয়ামসদের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পোলার্ড দেখে নিতে চান, কতটা তৈরি তাঁর দলের তরুণেরা।
সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই টি-টোয়েন্টি দল গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু পোলার্ডের আশঙ্কা, বাকি তরুণ প্রতিভাদের মতো তাঁরা যেন হারিয়ে না যান। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে পোলার্ড বলেছেন, ‘‘সিপিএল থেকে তরুণ ক্রিকেটারেরা উঠে এসেছে। আমাদের দায়িত্ব, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের সুযোগ দেওয়ার। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করার কাজি ওদের। ক্রিকেটবিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়ার এটাই সুযোগ, ওরাও পারে।’’ যোগ করেন, ‘‘অধিনায়ক হিসেবে আমার দায়িত্ব ওদের উপর ভরসা রাখার। এই সিরিজের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে ওরা।’’
ঘরোয়া ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে কতটা তফাত তা দলের তরুণ ক্রিকেটারদের বুঝিয়ে দিতে চান পোলার্ড। বলছিলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তুলনায় ঘরোয়া ক্রিকেট অনেক সহজ। এই সিরিজের পরে তা উপলব্ধি করতে পারবে ওরা। বুঝতে পারবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কতটা কঠিন।’’
ভারতের মাটিতে প্রত্যেক বছর দু’মাস থাকতে হয় পোলার্ডকে। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ভারতের পরিবেশ ও পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর ধারণা রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতাই অস্ত্র ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের। পোলার্ড বলে দেন, ‘‘ভারতে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোই আমার দায়িত্ব। তরুণ দল হলেও, ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না দেখালে এই সিরিজের কোনও মানে থাকবে না। আমাদের প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক ছিল না। আশা করি, ম্যাচেও তার প্রমাণ দেখা যাবে।’’
গত সিরিজে ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই হার থেকে শিক্ষা নিয়েই এ বার নামছেন পোলার্ডরা। বলছিলেন, ‘‘ভারত বিশ্বের এক নম্বর দল। ওদের সঙ্গে টেক্কা দিতে হলে আমাদের দলের প্রত্যেককে নিজের সেরাটা দিতেই হবে। এই দেশের পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে এক মাস আগে থেকে মানিয়ে নিয়েছি। এ বার মাঠে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার সময়। ভারতের মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি। দেখা যাক ম্যাচে কী হয়।’’
রাসেল, নারাইন, ব্র্যাভো না থাকার প্রভাব কতটা পড়বে দলের উপর? পোলার্ডের উত্তর, ‘‘এই অভাব পূরণ করার মতো নয়। ওদের পরিবর্ত ক্রিকেটার এত সহজে কি পাওয়া যায়? তবে দল হিসেবে আমরা যদি লড়াই করতে পারি, জেতা কঠিন নয়। কোনও এক জনকে নিয়ে ভাবছি না। প্রত্যেককে বলে দেওয়া হয়েছে দলের স্বার্থে খেলো। আশা করি, সেই নির্দেশ মেনেই কাল মাঠে নামবে।’’
পোলার্ড নিজেও ব্যক্তিগত ফর্ম নিয়ে ভাবছেন না। দলের জন্য রান করতে পারলেই তিনি খুশি। বলে গেলেন, ‘‘দলের স্বার্থে রান করতে পারলে এমনিতেই ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ভাল হবে। সুতরাং আমার লক্ষ্য দলের জন্য কিছু করে দেখানো। তা হলে ব্যাটসম্যান হিসেবেও সাফল্য পাওয়া যাবে।’’