গর্বিত: রুপোর পদক নিয়ে শ্রীকান্ত। পাশে কোচ গোপীচন্দ। ছবি পিটিআই।
করোনার জন্য বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতা না হওয়ায় টোকিয়ো অলিম্পিক্সে সুযোগ পাননি তিনি। সঙ্গে চোটের সমস্যা ছিলই। তবে হতাশ হননি। আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, আবার ঘুরে দাঁড়াবেন। শেষ পর্যন্ত সেই কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে খুশি কিদম্বি শ্রীকান্ত। বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে ঐতিহাসিক রুপো জয়ের পরে তাঁর লক্ষ্য আগামী বছরের জন্য নিজেকে তৈরি করা। আরও নিখুঁত হয়ে ওঠা।
স্পেন থেকে ভারতে ফিরে মঙ্গলবার শ্রীকান্ত বলেছেন, ‘‘অলিম্পিক্সে সুযোগ না পাওয়াটা হতাশাজনক ছিল। কয়েকটি যোগ্যতা অর্জন প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাত থেকে ন’টা প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে গেল করোনার জন্য।’’ আরও যোগ করেন, ‘‘২০২১ সালে আমি সুইস ওপেন সেমিফাইনালে খেললাম। আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করব। কিন্তু আবার প্রত্যেকটি প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে গেল। এগুলোর উপরে আমার কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’’ হতাশ না হয়ে শ্রীকান্ত এর পরে সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। বলেছেন, ‘‘মনে হল অলিম্পিক্সে সুযোগ না পেয়ে সব শেষ হয়ে যায়নি। আমার কাছে ফের সুযোগ আসবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পরিশ্রম করে গিয়েছি। তার সুফল পেয়ে খুব খুশি।’’
আসন্ন মরসুমে তাঁর লক্ষ্য কী? শ্রীকান্ত বলেছেন, ‘‘আমাকে এখন জোর দিতে হবে এই ছন্দ ধরে রেখে আরও উন্নতি করার দিকে। কারণ আগামী বছরে অল ইংল্যান্ড, তার পরে কমনওয়েলথ গেমস, এশিয়ান গেমস রয়েছে।’’ আরও যোগ করেন, ‘‘তাই আগামী আট-দশ মাস আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। গোপী আন্না-র (কোচ পুল্লেলা গোপীচন্দ) সঙ্গে কথা বলতে হবে। গত কয়েক মাসে আমার খেলায় যা ভুল হয়েছে, যাতে তার পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য পরিশ্রম করতে হবে।’’
শ্রীকান্তের কোচ গোপীচন্দও জানেন, কী ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন শ্রীকান্ত এবং ছাত্রের জন্য আগামী বছর কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তিনি বলছেন, ‘‘যত প্রতিযোগিতা এগিয়েছে, শ্রীকান্তের খেলা তত ধারালো হয়েছে। এই আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল প্রথমে। কিন্তু লি জি জিয়া, কেন্তো মোমোতাদের বিরুদ্ধে খেলার পরে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘তবে ওকে ভুলগুলো শুধরে আরও ধারাবাহিক হতে হবে। সামনের বছর বড় মাপের প্রতিযোগিতা রয়েছে, সেটা মাথায় রেখে এগোতে হবে।’’