টি-টোয়েন্টি ও একদিনের সিরিজে এসেছে সহজ জয়। বেশ কিছু নতুন মুখ উঠে এসেছে সেই জয়ের পথে। ফর্মে ফিরেছেন নামী প্লেয়াররাও। দেখে নেওয়া যাক সেই সব প্লেয়ারদের যাঁরা এই দুই সিরিজে ভরসা জুগিয়েছেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
শ্রেয়াস আইয়ার- এই তালিকায় অবশ্যই প্রথম নাম শ্রেয়াস আইয়ারের। ভারতীয় মিডল অর্ডারের ভঙ্গুর অবস্থায় আশার আলো তিনিই। টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ না পেলেও একদিনের সিরিজে তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়। এবং সেই সুযোগের যথাযথ সদ্ব্যবহার করেন তিনি। দু’টি ইনিংসেই প্রয়োজনের সময় অর্ধশতরান করেন তিনি। একদিনের সিরিজে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী তিনি।
রোহিত,শিখর ও পন্থ যখন ব্যর্থ হয়েছেন দুই ম্যাচেই, বিরাটকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ভারতকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করেন মুম্বইয়ের শ্রেয়াস আইয়ার। দুই ইনিংসে তার সংগ্রহ ১৩৬ রান। স্ট্রাইক রেট ১২৪.৭৭। ভবিষ্যতেও এই ফর্ম ধরে রাখলে ভারতের মিডল অর্ডারের চিন্তা মিটবে বলাই যায়।
নবদীপ সাইনি- একদিনের ম্যাচে যদি প্রাপ্তি হয় শ্রেয়াস, তবে টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন হরিয়ানার সাইনি। দিল্লির হয়ে রঞ্জি খেলা এই পেসার তিন ম্যাচে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। টি২০তে উইকেট শিকারিদের তালিকায় তিনিই ছিলেন শীর্ষে। তাঁর গতির জবাব খুঁজে পাননি ক্যারিবিয়ানরা।
ভবিষ্যতে শামি, বুমরাদের সঙ্গে ভারতীয় দলে দেখা যেতেই পারে এই পেসারকে। রিজার্ভ বেঞ্চে এমন পেসাররা বসে থাকলে নির্বাচকরাও ভরসা পাবেন কিছু কিছু ম্যাচে প্রধান বোলারদের বিশ্রাম দিতে।
দীপক চাহার- একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছিলেন টি-টোয়েন্টিতে। সেই ম্যাচেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনিও তৈরি। এক ম্যাচেই তুলে নেন তিন উইকেট। তাঁর পেসে ধরাশায়ী হয়েছিল ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং।
তবে একদিনের দলে তাঁকে রাখা হয়নি। তাই শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভাল খেললেও একদিনের সিরিজে দেখা যায়নি তাঁকে। আবার অপেক্ষা করে থাকতে হবে তাঁকে পরের সুযোগের জন্য।
খলিল আহমেদ- শামি-ভুবির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনিও তুলে নিয়েছেন একদিনের সিরিজে চার উইকেট। টি-টোয়েন্টি সিরিজে যদিও সেই ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এই বাঁ-হাতি পেসার। যদিও রান দিয়েছেন প্রচুর।
ভারতীয় দলে এখন পেসার প্রচুর। কিন্তু বাঁ-হাতি পেসারের অভাব। সেই অভাব পূরণ করতে পারেন তিনি। কিন্তু আরও বেশি তীক্ষ্ণ হতে হবে তাঁকে। বুধবারের ম্যাচে তিনি গেলকে ফেরালেও তাঁর আগে গেল ঝড়েই উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রথম ওভারেই দিয়েছিলেন ১৬ রান। এই রান দেওয়া কমাতে পারলেই আরও বেশি করে দলের কাজে লাগতে পারবেন তিনি।
বিরাট কোহালি- এই সিরিজের আরেক প্রাপ্তি অবশ্যই ভারত অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও নিজের হারানো ফর্ম খুঁজে পাচ্ছিলেন না। কিন্তু একদিনের সিরিজে সেই ফর্ম দেখা গেল। দু’টি ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে বুঝিয়ে দিলেন যে ক্লাস কখনওই চাপা থাকেনা।
বিশ্বকাপে ভাল শুরু করেও বার বার আউট হয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর ব্যাট থেকে আসছিল না সেঞ্চুরিও। এই সিরিজে সেই সব নেতিবাচক দিকগুলোকে ফেলে দিলেন অতলান্তিক মহাসাগরে।