ব্যতিক্রম: বাঁ-হাতি স্পিনের সঙ্গে ডান হাতে অফস্পিন কৌশিকের। নিজস্ব চিত্র
বেঙ্গল টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জের ম্যাচে বুধবার দু’হাতে বল করে ক্রিকেটারদের বিস্মিত করে দিলেন কৌশিক মাইতি।
কলকাতা হিরোজ়ের হয়ে টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে খেলছেন কৌশিক। ব্যারাকপুর ব্যাশার্সের বিরুদ্ধে তাঁর দল জেতে ৫৫ রানে। মূলত তিনি বাঁ-হাতি স্পিনার। তবে সেটা শুধুমাত্র ডান-হাতি ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রেই। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান ক্রিজ়ে এলেই ডান-হাতে বল করতে শুরু করেন কৌশিক। এ দিন ইডেনে তিন ওভারে ১৩ রান দিয়ে ফিরিয়ে দিলেন বাংলার প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান কাইফ আহমেদকে। বাঁ-হাতে বল করেই উইকেট পেয়েছেন। ডান-হাতে অফস্পিন করে রান আটকানোর কাজ করেছেন।
সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতেই পথ চলা শুরু কৌশিকের। ছোটবেলা থেকে দু’হাতে বল ছুড়তে পারতেন। বল করতেন বাঁ-হাতেই। এক দিন নেটে তাঁর কোচের কাছে দু’হাতে বল করার পরামর্শ চান। বাংলার রঞ্জি ট্রফি জয়ী অধিনায়কও তাঁকে বলে দেন, ‘‘শুরু করে দাও প্রস্তুতি।’’ প্রত্যেক দিন দু’হাতে বল করতেন কৌশিক। কিন্তু তাঁর হাত সোজা না হওয়া পর্যন্ত ম্যাচে বল করতে বারণ করেছিলেন কোচ। যে দিন থেকে ডান-হাত সোজা ঘোরাতে শুরু করেছেন, সে দিন থেকেই ঠিক করেন, ম্যাচেও এই শিল্প প্রয়োগ করবেন। গত বার স্থানীয় লিগে শ্যামবাজারের হয়ে বড়িশার বিরুদ্ধে সাতটি উইকেট পেয়েছিলেন কৌশিক। পাঁচটি উইকেট পান বাঁ-হাতে বল করে। দু’টি নেন ডান-হাতে অফস্পিন করে।
হাওড়ার ছেলে কৌশিক। তাঁর বাবা ও মায়ের একটি ছোট দোকান আছে। সেখান থেকে যা অর্থ উপার্জন হয়, তা দিয়ে কোনও রকমে চলে সংসার। কৌশিকের উপরেই এখন সংসার চালানোর দায়িত্ব। ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাঁকে সাহায্য করেন সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিনামূল্যে তাঁর ক্যাম্পে অনুশীলন করার সুযোগ করে দেন। ক্রিকেট সরঞ্জামও দেওয়া হয় নিয়মিত। কৌশিকের কথায়, ‘‘সম্বরণ স্যরই আমাকে ক্রিকেটার হতে সাহায্য করেছেন। স্যর না থাকলে কখনও ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন সত্যি হত না।’’
কাজির দাপট: বেঙ্গল টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে কৃষ্ণনগর চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে জিতল খড়্গপুর ব্লাস্টার্স। অধিনায়ক কাজি জুনেইদ সৈফির অপরাজিত ৫৭ রানের সৌজন্যে প্রতিযোগিতার প্রথম জয় পেল খড়্গপুর ব্লাস্টার্স।