ফাইল চিত্র।
একেবারে শেষ বেলার ঘটনা। ইডেনের ‘বি’ ব্লকের সামনেই ফিল্ডিং করছিলেন কর্নাটক অফস্পিনার কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। হঠাৎই অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা করে নিজের জায়গা পরিবর্তন করে নেন তিনি।
দিনের শেষে কে এল রাহুল, মণীশ পাণ্ডেরা ক্লাব হাউসের গেট দিয়েও বেরোতে দ্বিধাবোধ করলেন। তাঁদের জন্য ‘এল’ ব্লকের সামনে বাস দাঁড় করানো হয়। একে একে বাসে ওঠেন রাহুল, গৌতমেরা। কিন্তু কেন এতটা সতর্কতা? কর্নাটক শিবির সূত্রে খবর, ‘বি’ ব্লকের গ্যালারির সামনে গৌতম ফিল্ডিং করার সময় তাঁকে উদ্দেশ্য করে বিদ্রুপ করেন এক সমর্থক। তাই গৌতম ভয় পেয়েছেন। এমনকি উপস্থিত দুর্নীতি-দমন শাখার প্রতিনিধিকেও বিষয়টি জানান। কর্নাটক শিবিরের এক কর্তা বলছিলেন, ‘‘ম্যাচ রেফারির সঙ্গেও প্রাথমিক কথা হয়েছে। আমরা ভারতীয় বোর্ডকেও সরকারি ভাবে বিষয়টি জানাব। আমাদের ক্রিকেটারেরা ভয় পেয়েছে।’’
অন্যান্য দিন মাঠ ছাড়ার সময় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা সমর্থকদের অটোগ্রাফ ও ছবির আব্দার মেটান রাহুল, মণীশরা। কিন্তু রবিবার একেবারে মাথা নিচু করে বাসে উঠে গেলেন। ভয়, নাকি বাংলার বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে ধরাশায়ী হয়ে ফিরে যাওয়ার ফল, বোঝা কঠিন।
এ দিন আরও এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী ইডেন। ওড়িশা থেকে আসা এক সমর্থক গ্যালারি টপকে মাঠে প্রবেশ করেন। তাঁর নাম প্রবীর পাণ্ডে। দৌড়ে চলে যান কে এল রাহুলের কাছে। তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। ফের নিজেই জাল টপকে গ্যালারিতে উঠে যান। প্রবীর বলছিলেন, ‘‘রাহুলের খেলা দেখার জন্যই বালেশ্বর থেকে এসেছি। তাঁকে ছুঁতে পেরে আমি মুগ্ধ। স্বপ্নপূরণ।’’