ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে নিয়মিত সুযোগ না পেলেও পঞ্জাব কিংস তাঁকে নিয়েছে ১৪ কোটি টাকায়। কারণ, এ বারের বিগ ব্যাশ লিগের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক তিনি। ১৭ ইনিংসে তাঁর উইকেটসংখ্যা ২৯। তিনি ঝাই রিচার্ডসন। জীবনের প্রথম আইপিএলের চাপ নিতে হাসি মুখে তৈরি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এখনও পর্যন্ত দু’টি টেস্ট, ১৩টি এক দিনের ম্যাচ ও ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে রিচার্ডসনের। বিগ ব্যাশে ৫৩ ইনিংসে ৬৯ উইকেট রয়েছে ২৪ বছর বয়সি পেসারের। রিচার্ডসন বরাবরই ক্রিকেটকে উপভোগ করে খেলার চেষ্টা করেন। বিগ ব্যাশ লিগে বল করার আগে ‘রান-আপ’ (বল করার আগে দৌড়) নেওয়ার সময় মুচকি হেসে ব্যাটসম্যানের দিকে এগিয়ে যেতেন। রিচার্ডসন জানিয়েছেন, তাতেই অনেকটা চাপ কমে যেত। রিচার্ডসনের বলে কেউ ছয় মারলেও তিনি হতাশ হয়ে পড়তেন না। পরের বলে কী করে ব্যাটসম্যানকে চাপে ফেলা যায়, সেই অঙ্ক কষা শুরু করে দিতেন।
শুক্রবার সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে পঞ্জাব কিংস দলের তরুণ পেসার বলেছেন, ‘‘মাঠে গিয়ে খেলাটা উপভোগ করার জন্যই সাফল্য পেয়েছি। বিষয়টি বলা যতটা সহজ, করে দেখানো ততটাই কঠিন। কারণ বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে বল করার সময় মুখে হাসি ফুটে ওঠা কঠিন। তবুও আমি হাসি মুখে দৌড় শুরু করি।’’ যোগ করেন, ‘‘বিগ ব্যাশ থেকেই হাসি মুখে বল করার জন্য দৌড় শুরু করি। নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মজা করে খেলতে হয়।’’
গত বার কাঁধের চোট তাঁকে আইপিএল থেকে ছিটকে দেয়। রিচার্ডসনের পরিবর্তে দলে নেওয়া হয় শেল্ডন কোটরেলকে। ক্যারিবিয়ান বাঁ-হাতি পেসারকে এক ওভারে পাঁচটি ছয় মেরে রান তাড়া করে ম্যাচ জেতান রাজস্থান রয়্যালসের রাহুল তেওটিয়া। রিচার্ডসন মনে করেন, তাঁর ভাগ্যেও এ রকম দিন আসতে পারে। তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত। রিচার্ডসনের কথায়, ‘‘টি-টোয়েন্টিতে ভাল বল করলেও রান বেরিয়ে যেতে পারে। এটা একেবারে স্বাভাবিক। বোলার হিসেবে সেটা মেনে নিয়ে আগামী ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। ভয় পেয়ে গেলে ব্যাটসম্যান কাঁধে চেপে বসবে।’’ যোগ করেন, ‘‘বিগ ব্যাশে এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। সব সময় রান আটকানোর দায়িত্ব দেওয়া হত আমাকে। এমন কয়েকটি ওভার করতে হত যা ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। সেখানে সফল হওয়ার আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে পারব।’’