সন্দীপ নানগাল। —ফাইল ছবি
দিন দুয়েক আগেই জালন্ধরের মালিয়ান গ্রামে একটি কবাডি ম্যাচ চলাকালীন দুষ্কৃতিদের গুলিতে খুন হন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সন্দীপ সিংহ সান্ধু ওরফে সন্দীপ নানগাল আম্বিয়ান। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও এখনও অন্ধকারে পঞ্জাব পুলিশ। স্থানীয় এক দুষ্কৃতি নেটমাধ্যমে খুনের দায় নিলেও, পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহের জন্য সব প্রতিযোগিতা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল সর্বভারতীয় কবাডি সংস্থা।
সন্দীপকে কে এবং কারা খুন করল তা এখনও অজানা তদন্তকারীদের। সোমবারের এই ঘটনার পর আতঙ্কে ভুগছেন বহু কবাডি খেলোয়াড়। তাঁরা জালন্ধরের ওই প্রতিযোগিতায় আর খেলতে চাইছেন না। তাঁদের দাবি, অপরাধীরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত খেলবেন না। খেলোয়াড়দের একাংশের আশঙ্কা, তাঁদের উপরও হামলা হতে পারে। উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতার অন্যতম আয়োজক ছিলেন সন্দীপ।
সন্দীপকে বিশ্বের সেরা পাঁচ কবাডি খেলোয়াড়ের এক জন হিসেবে ধরা হত। তিনি মেজর কবাডি লিগ সংস্থারও প্রধান ছিলেন। এই সংস্থা পঞ্জাব ছাড়াও ব্রিটেন, কানাডা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৫০টি কবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। তাই তাঁর এমন করুণ পরিণতি ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে।
জালন্ধরের নানগাল আম্বিয়ান গ্রামের বাসিন্দা কিছু দিন আগে স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতা আয়োজন করার ভরসা পাচ্ছে না সর্বভারতীয় কবাডি সংস্থাও।