ছেলেবেলার বন্ধুদের সমর্থন পাবেন বেইতিয়া। — ফাইল চিত্র।
ছোটেবলার বন্ধু জোসু, আইতর, উনাই, আসিয়েররা কাল আগ্রহ ভরে তাকিয়ে থাকবেন জোসেবা বেইতিয়ার পায়ের দিকে। সুদূর স্পেনে বসেই বন্ধুর জন্য গলা ফাটাবেন তাঁরা। জোসু-উনাইদের এই সমর্থন বাড়তি অ্যাড্রিনালিন ঝরাবে বলেই মনে করছেন বেইতিয়া।
‘গ্রিন অক্টোপাস’ নামে ইতিমধ্যেই খ্যাত বাগানের মাঝমাঠের জেনারেল বলছেন, ‘‘ওরা আমার ছোটবেলার বন্ধু। আমার সঙ্গে ওদের রোজ কথা হয়। সেমিফাইনালে পৌঁছেছি শুনে ওরা আমাকে আগাম শুভচ্ছা জানিয়ে বলল, “তোমার খেলা দেখব। দূরে থাকলেও তোমার জন্য আমরা চিৎকার করব। আগাম শুভেচ্ছা রইল সেমিফাইনালের জন্য।’’
মাস ছয়েক হল স্পেন ছেড়ে ‘ফুটবলের মক্কা’য় পা রেখেছেন বেইতিয়া। বন্ধুদের সঙ্গে এখন দেখাসাক্ষাৎ বন্ধ। বেইতিয়ার মতোই তাঁর বন্ধুরাও কাজ নিয়ে ব্যস্ত। নতুন শহরে বাগানের ১০ নম্বর জার্সিধারী কেমন খেলছেন, সেই খবরাখবর রাখলেও বাগানের হয়ে বেইতিয়ার খেলা সে ভাবে দেখা হয়ে ওঠেনি বন্ধুদের। মঙ্গলবার শেখ কামাল ক্লাব কাপের সব চেয়ে কঠিন ম্যাচটাই স্পেন থেকে বসে দেখবেন বেইতিয়ার বন্ধুরা। তিনি বলছিলেন, ‘‘ম্যাচটা খুবই কঠিন। সেই কারণে বন্ধুরা আরও আগ্রহ নিয়ে ম্যাচটা দেখতে বসবে। ওদের হতাশ করতে চাই না।’’
আরও পড়ুন: পারফরম্যান্স তলানিতে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজে চাপে থাকবেন ভারতের এই ত্রয়ী
মালয়েশিয়ার ক্লাব তেরঙ্গানু টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই আগুন জ্বালাচ্ছে। গত বারের ভারতসেরা চেন্নাই সিটি, বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে উড়িয়ে দিয়ে শেষ চারের ছাড়পত্র জোগাড় করেছে তেরঙ্গানু। গ্রুপের ম্যাচে গোকুলমের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেছে মালয়েশিয়ার ক্লাবটি। সেই দলের বিরুদ্ধে নামার আগে সতর্ক বাগান শিবির। বেইতিয়া বলছেন, ‘‘তেরঙ্গানু দলটার সাত ও আট নম্বর জার্সিধারী প্লেয়ার দুটো ভয়ঙ্কর। ওদের ভাল করে নজরে রাখতে হবে।’’
তা হলে কি মার্কিংয়ে রাখা হবে ওদের? বেইতিয়ার সাফ জবাব, ‘‘গোটা দলটাকেই নজরে রাখতে হবে। ওদের আক্রমণ ভাগের কথা আলাদা করে বলতেই হবে। আমরা চেষ্টা করব ওদের আক্রমণ ভাগ যেন বল বেশি ধরতে না পারে।’’ সব ঠিকঠাক থাকলে আজ, সোমবারই শেষ চারের লড়াইয়ে নামত সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কিন্তু, সাংগঠনিক সমস্যা থাকায় মোহনবাগানের সেমিফাইনাল ম্যাচ পিছিয়ে যায় একদিন। বেইতিয়া বলছেন, ‘‘ম্যাচ পিছিয়ে যাওয়ায় আমাদের কোনও সমস্যা নেই। ফাইনালে পৌঁছলে আমরা তো একদিন কম বিশ্রাম পাব। সেটাই ভাবাচ্ছে। তবে কিছু তো করার নেই। খেলতে তো নামতে হবেই।’’
এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত বাগানে ঢোকেনি কোনও ট্রফি। বাংলাদেশ থেকে দেশে ট্রফি নিয়ে যেতে হলে কাল তেরঙ্গানু-বাধা টপকাতে হবে মোহনবাগানকে। তার জন্য শেষ মুহূর্তের তুলির টান দিচ্ছেন বেইতিয়ারা।
আরও পড়ুন: ভারত সফরে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা বিসিবি প্রেসিডেন্টের, আঙুল তুললেন নিজের দলের ক্রিকেটারদের দিকেই