মোহনবাগান মাঠে কিবু ও ব্যারেটো। —ফাইল চিত্র।
পাপা দিওয়ারার দূরপাল্লার শটটা আইজলের জালে জড়াতেই মোহনবাগান গ্যালারি উত্তাল হয়ে উঠল। সবুজ-মেরুন কোচ কিবু ভিকুনা ডায়রি খুলে কিছু একটা লিখতে বসে গেলেন। মাঠের উচ্ছ্বাস তখনও ছুঁয়ে যায়নি কিবুকে। শান্তই দেখাচ্ছিল স্পেনীয় কোচকে। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই বাঁধনহারা হল গ্যালারি। উড়ল সবুজ-মেরুন আবির। বেইতিয়া-গনজালেজদের আলিঙ্গনে ধরা দিলেন কিবু।
মোহনবাগানের আই লিগ জয় ছুঁয়ে গিয়েছে বন্ধু হোসে রামিরেজ ব্যারেটোকেও। তিনি নিজেও তো বাগানকে ভারতসেরা করেছিলেন। এ বারের আই লিগ জয়ের কৃতিত্বটা তিনি দিলেন স্পেনীয় কোচকেই। ‘সবুজ তোতা’ বললেন, ‘‘এই জয়ের কৃতিত্ব দিতেই হবে কিবুকে। দারুণ হোমওয়ার্কের ফসল এ বারের আই লিগ জয়। প্রথম দিন থেকেই দারুণ পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতিটি ম্যাচে পরিকল্পনার ছাপ দেখা গিয়েছে। ফুটবলারদের দারুণ ভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে। ফুটবলাররাও মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিয়েছে।’’
প্রথম সাক্ষাতে মোহনবাগানকে রুখে দিয়েছিল আইজল। মঙ্গলবার কল্যাণীতে একটা সময়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছিল আইজল। কিন্তু মাঝমাঠ থেকে বেইতিয়া হঠাৎ একটা আলগা বল ধরে ধনুকের ছিলার মতো ছিটকে বেরোলেন। ফাঁকায় দাঁড়ানো পাপাকে বাড়ালেন পাস। সেনেগালিজ স্ট্রাইকার সময় খরচ না করে কামান দাগলেন। আইজলের গোলকিপার শরীর ছুড়েও সেই বল বাঁচাতে পারেননি। ব্যারেটো বলছেন, ‘‘কিবু এ বার দারুণ দল পরিচালনা করেছে। সব চেয়ে বড় কথা, দলে চোট আঘাত তেমন ছিল না। কোনও সমস্যাই দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে দারুণ টিমওয়ার্কের ফসল এ বারের আই লিগ জয়। কর্তাদেরও প্রশংসা করতে হবে। এক কথায়, টিম বিহাইন্ড দ্য টিম-এর জন্যই এই জয়।’’
আরও পড়ুন: ধোনির মতো একজন ফিনিশার-এর খোঁজে ল্যাঙ্গার
চার ম্যাচ বাকি থাকতে আই লিগ জিতে যাওয়ায় রবিবারের ডার্বি ম্যাচের তো তেমন উৎসাহই থাকল না? ব্যারেটো বলছেন, ‘‘ডার্বিতে মোহনবাগানের হারানোর কিছু নেই। আমার মনে হয় ওরা অল আউট অ্যাটাকেই যাবে ডার্বি ম্যাচে। আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়, ডার্বি ম্যাচটা অন্তত জিততে চাইবে ইস্টবেঙ্গল। এ বছর তো তেমন সাফল্য নেই ওদের।’’
আরও পড়ুন: পাপার পায়ে বাজিমাত, পাঁচ বছর পরে ভারতসেরা মোহনবাগান
তিনি নিজেও উপস্থিত থাকবেন রবিবাসরীয় ডার্বিতে। স্টেডিয়ামে বসে দেখবেন বন্ধু কিবুর দলের আক্রমণাত্মক ফুটবল।