জন বুকাননের সঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের নেতৃত্ব থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ছেঁটে ফেলতে চেয়েছিলেন কোচ জন বুকানন, দাবি করলেন সেই দলের সদস্য আকাশ চোপড়া।
২০০৮ সালে প্রথম আইপিএলে সৌরভ ছিলেন কেকেআরের অধিনায়ক, কোচ ছিলেন জন বুকানন। অধিনায়কের সঙ্গে কোচের সংঘাত খুব কাছে থেকে দেখেছিলেন আকাশ চোপড়া। ২০০৯ সালে কোচ বুকাননের মুখে উঠে আসে ‘মাল্টিপল ক্যাপ্টেনসি’ তত্ত্ব। যা আবার মানতে পারেননি সৌরভ। শেষ পর্যন্ত সেই আইপিএলে নাইটদের অধিনায়ক হন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। কিন্তু তাতেও সাফল্য আসেনি। প্রথম আইপিএলে ছয় নম্বরে শেষ করার পর দ্বিতীয় আইপিএলে সবার শেষে ছিল কেকেআর। ২০১০ সালের আইপিএলে অবশ্য সৌরভকে ফের আনা হয় কলকাতার নেতৃত্বে।
২০০৮ সালের নাইট রাইডার্স দলে ছিলেন আকাশ চোপড়া। তিনি বলেছেন, “আইপিএলের প্রথম বছরে সৌরভের সঙ্গে বুকাননের সম্পর্ক প্রথম দিকে ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু তা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে।” কেন সম্পর্ক খারাপ হল? আকাশের ব্যাখ্যা, “বুকাননের কাজের ধারা ছিল অন্য রকমের। সৌরভের টেম্পারামেন্ট আবার আলাদা ছিল। পরের দিকে বুকানন নেতৃত্ব থেকে সরাতে চাইছিল সৌরভকে। যা পরের মরসুমে ঘটেছিল। প্রথম মরসুমে সৌরভের নেতৃত্বে কেকেআর ছিল ষষ্ঠ স্থানে। আর পরের মরসুমে, সৌরভ যখন নেতৃত্বে ছিল না, তখন দল ছিল অষ্টম স্থানে।”
আরও পড়ুন: নেতৃত্বে ধোনি, আইপিএলের এই ‘ফিয়ারসম ইলেভেন’ হারিয়ে দেবে যে কোনও দলকেই
আরও পড়ুন: ডি’ ভিলিয়ার্সকে বল করলেই মার খাওয়ার ভয় পেতাম, স্বীকারোক্তি কুলদীপের
কোথায় সমস্যা হয়েছিল? আকাশ চোপড়া বলেছেন, “বুকাননকে সরে যেতে হয়েছিল শেষ পর্যন্ত। কিছু বিষয় অবশ্য বাড়িয়ে বলা হয়েছিল। আমি দলে ছিলাম বলে যা জানি। যেমন, তিন জনকে ক্যাপ্টেন করার কথা ঠিক নয়। আসলে একটা জিনিস ভুল হলে অন্যগুলোও ভুল হতে থাকে। ম্যান ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আমার যেমন বুকাননের বিরুদ্ধে বলার রয়েছে। নিজের বন্ধু ও চেনা-পরিচিতদের উনি জড়ো করেছিলেন। পুরো পরিবারই এখানে এসেছিল। ওঁর প্রচুর লোক এখানে ছিল, যা আমাদের ভাল লাগেনি। এক দিকে বেছে বেছে ক্রিকেটার নেওয়া হচ্ছে স্কোয়াডে, অন্য দিকে পুরো পরিবার সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে দলের সঙ্গে ঘুরছে। এগুলোই হচ্ছিল। এটা আমাদের কাছে খুব তেতো লেগেছিল। কেকেআরের ইতিহাসে এটা কালো দাগের মতো দেখিয়েছিল।”