অ্যাশেজ মাঠের দৃশ্য।
চলতি অ্যাশেজের শেষ টেস্টের তৃতীয় দিনে ইংল্যান্ডকে ভাল জায়গায় নিয়ে গেলেন তাদের দুই ব্যাটসম্যান জো ডেনলি এবং বেন স্টোকস। শনিবার ওভালে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি পেলেন না ডেনলি। তিনি আউট হলেন ৯৪ রান করে। এই টেস্টে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলা স্টোকসের রান ৬৭। দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান আট উইকেটে ৩১৩। জো রুটের দল এগিয়ে ৩৮২ রানে।
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৯৪ রানে আউট হয়ে যাওয়ার পরে অস্ট্রেলিয়াকে থামিয়ে দেয় ২২৫ রানে। ৬৯ রানে এগিয়ে থাকার পরে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা সামলে দেন অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা প্রথম দিকে সে ভাবে দাগ কাটতে পারেননি। অফস্পিনার নেথান লায়ন নেন তিন উইকেট। দু’উইকেট নিয়েছেন পিটার সিডল। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ভেঙেছিলেন মিচেল মার্শ। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি নিয়েছেন দুই উইকেট।
চলতি অ্যাশেজ সিরিজটা মোটামুটি হয়ে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ডের বোলারদের সঙ্গে স্টিভ স্মিথের লড়াই। ওভাল টেস্টের প্রথম ইনিংসেও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংকে টেনেছিলেন সেই স্মিথ। আপাতত অস্ট্রেলিয়ার করা ২,৫০৮ রানের মধ্যে স্মিথের একারই সংগ্রহ ৭৫১ রান। এর মধ্যে আবার একটা টেস্ট খেলেননি স্মিথ। কেন দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা সে ভাবে রান করতে পারছেন না? এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে স্মিথ বলেন, ‘‘এই সিরিজে আমরা বিশাল কোনও রান হতে দেখিনি। ব্যাটসম্যানদের পক্ষে এই সিরিজে রান করাটা বেশ কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বোলারদের জন্য পিচে সব সময় কিছু না কিছু থাকছে। ঠিক জায়গায় টানা বল রাখতে পারলেই সফল হয়েছে বোলাররা।’’
স্মিথ আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘ইংল্যান্ডে খেলা আর ঘরের মাঠে খেলার মধ্যে পার্থক্য আছে। তাই দেশের বাইরে ভাল খেলার রাস্তা বার করতে হবে। মাঝে মাঝে ছোটখাটো বদল করলেই কাজ হয়ে যায়। আমার মনে হয়, এই সফরটা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে আমাদের ব্যাটসম্যানরা।’’
চলতি অ্যাশেজে দারুণ চাপ নিয়ে খেলতে হয়েছে স্মিথকে। তাও এ রকম সাফল্য পাওয়ার রহস্যটা কী? অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়কের জবাব, ‘‘কে কী বলছে, তা নিয়ে আমি একদমই মাথা ঘামাই না। আমি ব্যাট করতে ভালবাসি। যখনই ক্রিজে যাই, লক্ষ্য থাকে বড় রান করে দলের কাজে আসা। লোকে ভাল, খারাপ অনেক কিছুই বলতে পারে। কিন্তু আমার কিছু যায় আসে না।’’ ওভালে সিরিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি অল্পের জন্য ফস্কেছেন স্মিথ। অন্য দিকে, দুরন্ত বল করে ছয় উইকেট নেন জোফ্রা আর্চার। আপনাদের মধ্যে ভবিষ্যতে কি দারুণ একটা দ্বৈরথ দেখা যেতে পারে? স্মিথের মন্তব্য, ‘‘কে বলতে পারে? পরের অ্যাশেজ কবে, আমি তো সেটাই জানি না।’’