২০০৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে সেই সিরিজে ২০ উইকেট নিয়েছিলেন জেসন গিলেসপি। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
২০০৪ সালে ভারত সফরে এসে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডাম গিলক্রিস্টের নেতৃত্বে চার টেস্টের সিরিজ ২-১ ফলে জিতেছিল তারা। যা ছিল এ দেশে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়। সেই জয়ের নেপথ্যে কোন পরিকল্পনা কাজে এসেছিল, সেটাই ফাঁস করলেন প্রাক্তন পেসার জেসন গিলেসপি।
সেই সিরিজে গিলেসপি নিয়েছিলেন ২০ উইকেট। যা ছিল কোনও অজি বোলারের পক্ষে সবচেয়ে বেশি। গ্লেন ম্যাকগ্রা, মাইকেল কাসপ্রোইচ ও গিলেসপি, এই তিন পেসার মিলে দখল করেছিলেন ভারতের ৪৩ উইকেট। কী ভাবে ২০০১ সালের সফর থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের থামিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার পেস ব্যাটারি, জানালেন গিলেসপি।
আরও পড়ুন: আইসিসি প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন? সৌরভ বললেন...
আরও পড়ুন: ‘নির্বাসিত হওয়ার পর স্বার্থপর হয়ে গিয়েছিলাম’
এক ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বলেছেন, “ভারতীয় কন্ডিশনে কী ভাবে আমরা বল করব তা নিয়ে একসঙ্গে আলোচনায় বলেছিলাম বোলিং গ্রুপের সদস্যরা। আমরা যদি অস্ট্রেলিয়ায় যে ভাবে বল করি, সেই চতুর্থ স্টাম্প লাইনই আঁকড়ে থাকতাম তবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা অফে শট নিত। ২০০১ সালে আমরা এটাই করার চেষ্টা করেছিলাম। এর ফলে বোল্ড হওয়া বা লেগ বিফোর উইকেটের মতো আউট হিসেবের বাইরে চলে গিয়েছিল। পাশাপাশি, এটাও ভেবে দেখেছিলাম যে সোজাসুজি স্টাম্পে আক্রমণ করলে ভারতীয়দের শক্তিশালী জায়গায় বল দেওয়া হয়ে যাবে না তো!”
গিলেসপি ব্যাখ্যা করেছেন, “ভারতীয়রা অধিকাংশই কব্জির মোচড়ে খেলে। লেগ সাইডে খুব ভাল খেলে। ভিভিএস লক্ষ্মণ, রাহুল দ্রাবিড়, সচিন তেন্ডুলকর ও বীরেন্দ্র সহবাগকে স্টাম্পে বল করলে ওরা সোজা বোলারের পাশ দিয়ে যেমন বল পাঠাতে পারবে তেমনই স্কোয়ার লেগ পর্যন্ত বিশাল জায়গায় শট নিতে পারবে অনায়াসে। কারণ, ওদের স্কিল মারাত্মক। অনুভব করলাম যে লেগ সাইডে ক্যাচ নেওয়ার মতো জায়গায় যদি আমরা বাড়তি দু’জন ফিল্ডার রাখি আর সীমানার বাইরে বাউন্ডারি বাঁচানোর জন্য কাউকে রাখা হয়, তবে ওদের রান আটকে যাবে। সহজে বাউন্ডারি মিলবে না বলে দৌড়ে রান নিতে হবে ভারতীয়দের। আমরা তাই ওদের ফিটনেসের পরীক্ষা নেব বলে ঠিক করলাম। আর বল হাতে আক্রমণ করলাম স্টাম্পকে। ভারতীয়রা যা একটা-দুটো মিস করলে হয় বোল্ড হবে নয়তো এলবিডব্লিউ। আর বাস্তবে সেটাই ঘটেছিল।”
আরও পড়ুন: বুমরা-শামিদের পেস আক্রমণকে সর্বকালের সেরা বললেন দ্রাবিড়
আরও পড়ুন: ৯৮ দিন পর মাঠে নেমেই নায়ক, গোল করলেন, করালেনও মেসি
সেই সিরিজে ভারতের হয়ে সর্বাদিক ২৯৯ রান করেছিলেন সহবাগ। তবে এর মধ্যে একটা ইনিংসেই এসেছিল ১৫৫। বাকি ১৪৪ রান এসেছিল মোট সাতটি ইনিংসে। টেনিস এলবোর জন্য প্রথম দুই টেস্টে খেলতে পারেননি সচিন। চার ইনিংসে তিনি করেছিলেন ৭০ রান। দুই টেস্টে খেলতে পারেননি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। বাকি দুই টেস্টে তিন ইনিংসে তিনি করেন ৫৯ রান। সাত ইনিংসে দ্রাবিড়ের ব্যাটে এসেছিল ১৬৭ রান। ভিভিএস লক্ষ্মণ সাত ইনিংসে করেন ১২৩ রান। যুবরাজ সিংহ দুই টেস্টে করেন ৪৭ রান। মহম্মদ কইফ তিন টেস্টে করেন ১৫৩ রান। আকাশ চোপড়া দুই টেস্টে করেন মাত্র ১৫ রান। গৌতম গম্ভীর এক টেস্টে করেন ৪ রান।