যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চারা গাছ পুঁতছেন কোচ আলেহান্দ্র। ছবি: নিজস্ব চিত্র
ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষে শহর জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিত হচ্ছে নানান অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ পূর্তিতে অভিনব উদ্যাপন ‘সরশুনা সবুজ-মেরুন লাভারস’-এর। ‘চিরশত্রু’ ইস্টবেঙ্গলের ফ্ল্যাগ তুলল তারা।
অন্যদিকে, এ দিনই তৈরি হয়েছে ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস গ্রুপ’। তারা এ দিন ক্লাবের শতবর্ষ উদ্যাপন করল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। প্রথম বারের জন্য ভারতবর্ষে কোনও ফুটবল ক্লাবের একশো বছর উদ্যাপিত হলকোনও বিশ্ববিদ্যালয়। তারা এই দিন ‘ইস্টবেঙ্গল ডে’উদ্যাপন করছে। এই বিশেষ দিনে তারা শুধু ফ্ল্যাগ তুলে, কিছু বিশিষ্ট মানুষকে তাদের মঞ্চে এনে থেমে থাকেনি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লাগিয়েছে ১০০টি গাছও।
‘সরশুনা সবুজ-মেরুন লাভারস’ শুভেচ্ছা জানালো ইস্টবেঙ্গলকে
‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস গ্রুপ’-এর সভাপতি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। এই গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত বহু ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। ওই ফ্যান ক্লাবের সম্পাদক শুভদীপ দাস ও সহ-সভাপতি মেঘদূত রুদ্র। তাঁরাজানান, অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বর্তমান ক্লাবের কোচ আলেহান্দ্র, প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল কর্তা অজয় শ্রীমানি-সহ আরও অনেকে। সকালবেলা ফ্ল্যাগ তোলার পর ভাষণদেন বিশিষ্ট অতিথিরা। তারপর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ১০০টি চারা গাছ পোঁতা হয়। গাছ পোঁতেন ইস্টবেঙ্গল কোচও।
আরও পড়ুন: কপিল আসছেন, জানিয়ে দিলেন লাল-হলুদ কর্তারা
বেলঘরিয়া, যাদবপুর, সরশুনার মতো বিভিন্ন জায়গায় এ দিন উদ্যাপিত হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবস। সমর্থকরা তাদের প্রিয় ক্লাবের জন্মদিনে কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা মুড়ে দিয়েছেন পতাকা এবং ইলিশের ছবিতে। পিছিয়ে নেই সোশ্যাল মিডিয়াও। সেখানেও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্য দেখা যাচ্ছে আবেগ।