সফল: বিলবাওয়ের বিরুদ্ধে গোল করার পরে ইভান রাকিতিচ। এএফপি
লিয়োনেল মেসির ৩৩তম জন্মদিনে আবার লা লিগা টেবলের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করল বার্সেলোনা। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিরুদ্ধে ক্যাম্প ন্যু-তে মঙ্গলবার রাতে আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তি অবশ্য নিজের ৭০০তম গোল পাননি। পর পর দু’ম্যাচ তাঁকে খালি হাতে ফিরতে হল। নিজে না পারলেও ইভান রাকিতিচ মেসির পাস থেকেই গোল করেন। মরসুমে ১৫বার তাঁর পাস থেকে গোল পেল বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে বিলবাওকে হারিয়ে লুইস সুয়ারেসদের পয়েন্ট এই মুহূর্তে ৩১ ম্যাচে ৬৮। এক ম্যাচ কম খেলে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৬৫। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মায়োরকাকে হারালেই করিম বেঞ্জেমারা আবার শীর্ষে চলে আসবেন। রিয়াল আর পয়েন্ট নষ্ট না করলে মেসিদের পক্ষে এ বারও খেতাব জেতা কঠিন। যদিও বার্সা ম্যানেজার কিকে সেতিয়েন এখনও বলে যাচ্ছেন, রিয়ালও নাকি অবধারিত ভাবে পয়েন্ট নষ্ট করবে।
খেতাব জয়ের ব্যাপারে প্রবল আশাবাদী হলেও সেতিয়েন কিন্তু দলের খেলায় রীতিমতো হতাশ। মেসিদের ম্যানেজারের মতে, করোনা-অতিমারির বন্ধ থাকা লা লিগা আবার শুরু হওয়ার পরে বার্সার খেলায় পরিচিত ‘আগুনটাই দেখা যাচ্ছে না’। ‘‘সবাই দেখছে বিপক্ষ দলগুলো আমাদের বিরুদ্ধে দশ জন মিলে রক্ষণ করছে। গোল করার মতো জায়গাই পাওয়া যাচ্ছে না। এ’রকম অবস্থায় একটা দলকে অনেক বেশি তৎপরতা দেখাতে হয়। সঙ্গে নির্ভুলও হতে হবে। এই জায়গাটাতেই আমরা মার খাচ্ছি।’’ পাশাপাশি ফুটবল বিশ্লেষকেরাও বলে দিচ্ছেন, বার্সা এই মুহূর্তে তাদের সেরা ছন্দের ধারেকাছে নেই। তার পরেও বিলবাও ম্যাচে ৭১ মিনিটে মেসির পাস থেকে রাকিতিচের গোলে বার্সার শেষরক্ষা হয়েছে কোনও রকমে!
রাকিতিচ ১৫ মাস পরে ক্লাবের হয়ে গোল পেলেন। শেষ গোল তিনি করেছিলেন ২০১৯-এর ২ মার্চ এল ক্লাসিকোয় রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে। হালফিলে তাঁর খেলায় আগের সেই গতি দেখা যাচ্ছিল না। এমনও শোনা যাচ্ছিল যে তাঁকে বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছে বার্সা। পরিবর্ত হিসেবে ৬৫ মিনিটে তিনি নামেন। আর একেবারে গোলের সামনে অরক্ষিত অবস্থায় মেসির পাস পান। বহুদিন পরে গোল পেয়ে রাকিতিচ দারুণ খুশি। বললেন, ‘‘তিন পয়েন্টের দরকার ছিল। খেতাব জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য জিততেই হত। ভাল লাগছে আমার গোল থেকেই পুরো পয়েন্ট আসায়।’’ যোগ করেন, ‘‘আমি খুশি ১৫ মাস পরে ক্লাবের হয়ে গোল করেও। তবে কেন এতদিন গোল পাইনি ভেবে খুব অদ্ভুত লাগছে।’’ পুরো পয়েন্ট তোলার পাশাপাশি বার্সা সমর্থকেরা বেশি খুশি হতেন মেসি তাঁর ৭০০তম গোলটি পেলে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেক ক্যালেন্ডার বর্ষে তিনি কমপক্ষে ৭০ শতাংশ গোল করেছেন। যা অবিশ্বাস্য নজির।