দু’ দেশের বোর্ড একে অপরের বিপরীত মেরুতে। —ফাইল চিত্র।
আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে গিয়েছেন শশাঙ্ক মনোহর। এখনও নতুন চেয়ারম্যান পায়নি আইসিসি। সোমবার আইসিসি-র বোর্ড মিটিংয়েও সমাধানসূত্র বের হয়নি। বরং ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে দেখা গিয়েছে ঠান্ডা লড়াই।
আইসিসি চেয়ারম্যান কে হবেন, তা নিয়ে লড়াই নয়। বরং চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়েই যত আলোচনা, যত মতপার্থক্য। পরিস্থিতি এখন যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনও রাস্তাও খোলা নেই। পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে যে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হবে, সেই অবস্থাও নেই।
বিশ্ব ক্রিকেটের ‘তিন শক্তি’ ভারত, অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড চায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে চেয়ারম্যান বাছাই করা হোক। অন্য দিকে পাকিস্তান-সহ কয়েকটি দেশের ক্রিকেট বোর্ড চাইছে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমেই নির্বাচন হোক। এই নিয়েই বিসিসিআই ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই। আইসিসি-র এক কর্তাও তা স্বীকার করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনা আবহেই চলছে প্রস্তুতি, বিদেশের মাঠে আইপিএল মাতাতে মরিয়া বাংলার দুই তারকা
আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ১৭ জন ভোট দিতে পারেন। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড চাইছে এই ১৭ জনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি সমর্থন যে পাবেন, তিনিই পরবর্তী চেয়ারম্যান হোন। পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশগুলো আবার চাইছে ১৭ জনের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট যিনি পাবেন, তাঁকেই চেয়ারম্যান করা হোক। ফলে, তা নিয়েই বেধেছে জট।
ক্রিকেটমহলের খবর,আইসিসির চেয়ারম্যানের জন্য লড়াইয়ে রয়েছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ইসিবি-র চেয়ারপার্সন কলিন গ্রেভস এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডেভ ক্যামেরন। পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এই তিন জনের মধ্যে যে কোনও একজনকে চেয়ারম্যান বানানোই যায়। কিন্তু পাকিস্তান তা চাইছে না। ফলে ক্রিকেট মাঠের বাইরেও দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে চলছে ঠান্ডা লড়াই।