ওই একটা বল এদিক ও দিক হলে আজ হয়ত বাংলাদেশে অন্য বসন্ত উত্সব হত। আজ হয়ত বিষন্নতার অন্য আখ্যান লেখা হত এ দেশে। ফিকে হয়ে যেত হোলির রঙের সবটুকুই। আর হয়ত, এ বারের জন্মদিনটাই জীবনের সেরা হয়ে যেত সাকিব আল হাসানের।
কিন্তু বাস্তবটা তো ‘যদি’ নির্ভর নয়। তাই অনেক লড়েও ওই একটা রানের জন্য এবারের বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায়টা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গেল। আর বড্ড বেরঙিন হয়ে গেল সাকিবের জন্মদিনটাও।
২৪ মার্চ সাকিবের ২৯ তম জন্মদিন। ইচ্ছা ছিল ২৩ তারিখে ডু অর ডাই ম্যাচে চিন্নস্বামীতে ভারতকে হারিয়ে ২৪ তারিখে জন্মদিনে জমিয়ে পার্টি করবেন। নিজে চেষ্টার ত্রুটি করেননি।ভারেতর বিপক্ষে বল হাতে ৪ ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে তুলেছে নিয়েছেন ১টি উইকেট। ব্যাট হাতে খেলেছেন ১৫ বলে ২২ রানের গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তিন বলে দু’রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ।জিতে গেছে ভারত। জিতেছে ধোনির বরফ কঠিন মস্তিষ্ক।
কাল হতে পারত নয়া কোনও মহাকাব্যের সূচনা। হয়নি। ওই এক বলের খেলায় শুরুর আগেই তার সমাপ্তি ঘটেছে।
তাই এ বারের জন্মদিনটা কান্নাভেজাই থাকল এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারেরল।
আরও পড়ুন-এই ম্যাচ যে কেউ জিততে পারত, মত দুই অধিনায়কের