মানসিক: দুবাইয়ের বন্দিদশার প্রভাব শামিদের মনে। ফাইল চিত্র
লকডাউনের চার মাস নিজের ফার্মহাউসে কাটিয়েছেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামি। করোনা অতিমারির মধ্যে কিন্তু তাঁর প্রস্তুতি আটকে থাকেনি। খামার বাড়িতেই পিচ তৈরি করে চলেছে তাঁর অনুশীলন। কিন্তু দুবাইয়ে আইপিএল খেলতে এসে ছ’দিনের নিভৃতবাসে হাঁপিয়ে ওঠেন শামি।
এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের পেসার শামি বলেছেন, ‘‘শেষ চার মাস প্রত্যেকের কাছেই খুব কঠিন সময় ছিল। সত্যি বলতে, আমি সে ভাবে কষ্ট পাইনি। ফার্ম হাউসে পিচ তৈরি করেছি। সেখানেই অনুশীলন করেছি নিয়মিত। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখাও হয়েছে। নিজেকে খুবই সুরক্ষিত মনে হয়েছিল সেই চার মাস।’’ শামি আরও বলেন, ‘‘কিন্তু এই ছ’দিনে বুঝতে পেরেছি, শেষ চার মাস কী ভাবে সবাই কাটিয়েছে। কতটা কঠিন একটা ঘরে বন্দি থাকা। মাঠে নামতে পেরে সত্যি ভাল লাগছে।’’
বাড়িতে ট্রেনিং করতে পেরে উপকৃত হয়েছেন, মনে করছেন শামি। তাঁর কথায়, ‘‘বাড়িতে যে পরিশ্রম করেছি, তার ফল এখন পাচ্ছি। কোনও জড়তা নেই। মনে হচ্ছে কোনও রিকভারি সেশন থেকে ফিরেছি। দারুণ ছন্দে রয়েছি।’’ যোগ করেন, ‘‘কিন্তু কিছু জায়গায় মনে হচ্ছে, আগের সেই দাপট দেখাতে পারছি না। যারা একেবারে গৃহবন্দি ছিল, তাদের মধ্যে কিছুটা জড়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’’
লকডাউনের পরে মাঠে নেমে প্রত্যেকের মধ্যেই ভাল কিছু করার খিদে লক্ষ্য করেছেন শামি। বললেন, ‘‘এত দিন অনুশীলনের বাইরে থাকার জন্য সবার মধ্যে ভাল কিছু করার খিদেটা বেশিই। নিঃসন্দেহে, এ বারের আইপিএলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনও অভাব দেখতে পাওয়া যাবে না।’’
শামিদের কিংস ইলেভেন পঞ্জাব এক বারও আইপিএল জিততে পারেনি। ট্রফি খরার মধ্যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরও। অধিনায়ক বিরাট কোহালি মরিয়া, প্রতিযোগিতার ১৩তম সংস্করণে ট্রফি তোলার লক্ষ্যে। যোগ্যতা অনুযায়ী তাঁর দল ভাল খেলতে না পারলেও আরসিবি ছেড়ে অন্য দলে যাওয়ার ভাবনা কখনও তাঁর মাথায় আসেনি। আরসিবি-র এক ভিডিয়োয় কোহালি বলেছেন, ‘‘১২ বছরের এই যাত্রা অসাধারণ। প্রায় তিন বার ট্রফি জেতার কাছে এসেছি। কিন্তু জেতা হয়নি। প্রত্যেক বারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই নামি।কিন্তু যাই ঘটুক না কেন, আরসিবি ছেড়ে যাব না কখনও। যে আন্তরিকতা ও ভালবাসা এখানে পেয়েছি, তা ভোলা যায় না।’’
কোহালি এবং রোহিত শর্মার নেটে ব্যাটিংয়ের ভিডিয়ো ভক্তদের মধ্যে সাড়া ফেলতে শুরু করেছে। দেখা যাচ্ছে, দু’জনেই ভাল ব্যাটিং করছেন। তবে সঠিক ছবি বোঝা যাবে ম্যাচেই।