গোলের পর সতীর্থদের সঙ্গে উচ্ছ্বাস ফলের। ছবি টুইটার
খেলা শেষ। শেষের দিকে অজস্র পাস এবং দাপট বজায় রেখেও সমতা ফেরাতে ব্যর্থ এসসি ইস্টবেঙ্গল। তাদের টানা ৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার দৌড় শেষ। প্লে-অফের দৌড় কঠিন হল লাল-হলুদ বাহিনীর।
৮৪ মিনিট । সুযোগ নষ্ট করলেন হরমনপ্রীত। খেলার বাকি ৬ মিনিট। এসসি ইস্টবেঙ্গল এখনও ০-১ পিছিয়ে। লাল-হলুদ স্ট্রাইকাররা এখনও অমরিন্দরকে পরাস্ত করতে পারেননি। নারায়ণের ফ্রিকিক অনায়াসে ক্লিয়ার করল মুম্বই ডিফেন্স।
৭৪ মিনিট । খেলার সময় ক্রমশ কমছে। কিন্তু সমতা ফেরাতে এখনও ব্যর্থ এসসি ইস্টবেঙ্গল। ব্রাইট নামার পরেও পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না। গোয়ার ডিফেন্ডাররা সুযোগ দিচ্ছেন না লাল-হলুদ বাহিনীকে।
৬৩ মিনিট । অল্পের জন্যে কর্নার থেকে ফক্সের হেড বাইরে। নেমেছেন ব্রাইট এনোবাখারে। সময় ক্রমশ কমছে। রবি ফাওলার আর কোনও উপায় না দেখে সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে নামালেন দলের অন্যতম সেরা অস্ত্রকে।
৬০ মিনিট । ডানদিকে বল পেয়ে দুরন্ত দৌড় দিয়েছিলেন পিলকিংটন। কিন্তু আশেপাশে কোনও সতীর্থকে পেলেন না। নিজেই চেষ্টা করলেন শট নেওয়ার। কিন্তু দুর্বল প্রচেষ্টা অনায়াসে সামলে দিলেন অমরিন্দর।
৫৩ মিনিট । বিরতির পর অনেক বেশি আক্রমণ দেখা যাচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গলে। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি মরশুমে এগিয়ে গিয়ে একবারও হারেনি মুম্বই। ইস্টবেঙ্গল গোল খেয়ে কখনও জেতেনি। এখন দেখার হিসেব উল্টোয় কিনা।
৪৬ মিনিট । দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু। দুটি পরিবর্তন এসসি ইস্টবেঙ্গলের। অঙ্কিত এবং সুরচন্দ্রের বদলে নামলেন রফিক এবং রানা।
বিরতি । লে ফনড্রের হেড অল্পের জন্য বাইরে বেরিয়ে গেল। না হলে আরও একটি গোলে পিছিয়ে পড়ত এসসি ইস্টবেঙ্গল। ম্যান মার্কিংয়ে এখনও সমস্যা রয়েছে তাদের। লে ফনড্রে-কেও মার্ক করেননি ফক্স। ডিফেন্স এখনও দুর্বল এসসি ইস্টবেঙ্গলের। এখন দেখার দ্বিতীয়ার্ধে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা।
৪০ মিনিট । শুধু গোল করা নয়, ডিফেন্সেও অসামান্য ভূমিকা নিচ্ছেন ফল। শরীর ছুঁড়ে, ঝাঁপিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ ক্লিয়ার করছেন।
৩৫ মিনিট । নারায়ণের ফ্রিকিক থেকে পিলকিংটনের হেড। কিন্তু বল সরাসরি গোলকিপার অমরিন্দরের কাছে। কোনও বিপদ হয়নি।
২৮ মিনিট । গো-ও-ও-ও-ও-ও-ও-ল। কর্নার থেকে বিনা বাধায় গোল করে মুম্বইকে এগিয়ে দিলেন মুর্তাদা ফল। তিনি গোল করার সময় কেউ তাঁকে মার্ক করেননি। অ্যাসিস্ট করলেন বোমাস। এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স নিয়ে ফের উঠল বড়সড় প্রশ্ন।
২৩ মিনিট । হলুদ কার্ড দেখলেন মুম্বইয়ের আমেদ জাহু। বল পজেশন বেশি রয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু সে ভাবে আক্রমণ তুলে আনতে পারছে না তারা। মুম্বইয়ের বেশিরভাগ খেলাই শুরু হচ্ছে উগো বোমাসকে ঘিরে।
১৬ মিনিট । অনেক দূর থেকে শট মেরেছিলেন জা মাঘোমা। কিন্তু গোলের পাশ গিয়ে গড়িয়ে চলে গেল বল।
১২ মিনিট । এসসি ইস্টবেঙ্গলকে শুরু থেকেই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। উইং ধরে আক্রমণ তুলে আনছেন মুম্বইয়ের ফুটবলাররা। মূলত নিজেদের অর্ধেই পাস খেলছেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা।
৩ মিনিট । মিলন সিংয়ের মিস পাস থেকে বল পেয়েছিলেন লে ফনড্রে। তাঁর জোরালো শট গোলের বাইরে।
আইএসএলে প্লে-অফে টিকে থাকার লড়াইয়ে আজ মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু প্রথম দলে নেই ব্রাইট এনোবাখারেই। লাল-হলুদের এই ফরোয়ার্ডকে ছাড়াই দল নামাচ্ছেন কোচ রবি ফাওলার।
আইএসএলে নেমে নিজের প্রথম তিনটি ম্যাচে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন ব্রাইট। কিন্তু গত দুই ম্যাচে তাঁকে চেনা ফর্মে পাওয়া যায়নি। গোলের সামনে ব্যর্থ হয়েছেন বারবার। লাল-হলুদও জয় পায়নি। ফাওলার তাই এই ম্যাচে ভরসা রাখছেন অ্যান্টনি পিলকিংটনের উপরেই। টুর্নামেন্টে যাঁর অবদান মাত্র এক গোল। সঙ্গে থাকছেন হরমনপ্রীত সিংহ। দলের ঢুকেছেন মাঠি স্টেনম্যানও।
মুম্বই সেখানে উগো বোমাস, অ্যাডাম লে ফনড্রে, আমেদ জাহু-সহ বেশিরভাগ বিদেশি তারকাকেই রেখেছে। তবে বার্তোলোমেউ ওগবেচে প্রথম একাদশে সুযোগ পেলেন না। তিনি রয়েছেন রিজার্ভ বেঞ্চে।
এই ম্যাচে হারলে প্লে-অফের দৌড় অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়বে লাল-হলুদের কাছে। অন্যদিকে, জিতলে প্লে-অফ কার্যত নিশ্চিত করে নেওয়ার সুযোগ থাকবে মুম্বইয়ের কাছে। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গেও ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারবে তারা।