গোলের সামনে ব্রাইট। ছবি: টুইটার থেকে
এগিয়ে গিয়েও শেষ মুহূর্তের ভুলে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ড্র করল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ব্রাইট এনোবাখারের ৫৯ মিনিটের গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ ক্লাব। সান্তানার শেষ মুহূর্তের গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় হায়দরাবাদ। প্রথমার্ধে যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেও গোল করতে ব্যর্থ হন হায়দরাবাদের ফুটবলাররা। একের পর এক আক্রমণ করলেও সুব্রত পালকে পরাস্ত করতে পারেননি লুইস শাস্ত্রেরা। ২১ মিনিটে সুযোগ পেয়ে যান জোয়েল। লুইসের থ্রু থেকে বল ধরে এগিয়ে যান তিনি। সামনে তখন শুধুই ইস্টবেঙ্গল দুর্গের শেষ প্রহরী সুব্রত। তাঁর দক্ষতাতেই পতন রোধ হয় এসসি ইস্টবেঙ্গলের।
৪৩ মিনিটে সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গলও। অনেকটা দৌড়ে শট করেন পিলক্লিন্টন। তাঁর শট ঝাঁপিয়ে বাঁচান কাট্টিমনি। গোল আসে দ্বিতীয়ার্ধে। মাত্র ১১ সেকেন্ডে প্রতি আক্রমণ তুলে আনে এসসি ইস্টবেঙ্গল। পিলক্লিন্টনের ফ্লিক হেড থেকে বল ধরে বিদ্যুৎ গতিতে হায়দরাবাদের গোলের দিকে এগিয়ে যান ব্রাইট। কাট্টিমনিকে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের ছোট্ট টোকায় গোল করে যান তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্তি সময়ে বাঁদিক থেকে ফ্রান সান্দাজার গড়ানো ক্রসে পা ছুঁয়ে গোল করে যান আরিদানে সান্তানা।
ম্যাচের শেষদিকে লাল কার্ড দেখেন হায়দরাবাদের মহম্মদ ইয়াসির। তাতে অবশ্য ফলাফলের পরিবর্তন হয়নি। তবে নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে আরও একবার বঞ্চিত হল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ৮৩ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা হলওয়ে দারুন ভাবে বল নিয়ে এগিয়ে যান। ব্রাইটের সঙ্গে যুগলবন্দিতে গোলের কাছে পৌঁছে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। হলওয়ে ব্রাইটকে পাস দিলে কাট্টিমনি অবৈধভাবে বাধা দেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকারকে। চোখ এড়িয়ে যায় রেফারির। পেনাল্টি দেননি তিনি। এই ম্যাচের পর প্লে অফের রাস্তা কার্যত অসম্ভব করে ফেলল রবি ফাওলারের ইস্টবেঙ্গল।