isl

সেরা চার ক্লাবের সঙ্গে লড়াই করার যোগ্য হয়ে উঠেছে তারা, দাবি ইস্টবেঙ্গলের

জানুয়ারির দলবদলে একাধিক ভাল ফুটবলার দলে নিয়ে এসেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল, যাঁরা আসার ফলে দলটার চেহারা অনেক বদলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১২:৩৫
Share:

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও ড্র করেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল ছবি টুইটার

ফের শেষ মুহূর্তের গোলে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে। বারবার এই জিনিস হওয়া যে একেবারেই কাম্য নয়, তা শুক্রবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ১-১ ড্রয়ের পরে জানাতে দ্বিধা করলেন না এসসি ইস্টবেঙ্গলের সহকারি কোচ অ্যান্থনি গ্রান্ট। তবে তাঁর দল যে লিগের সেরা দলগুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার যোগ্য হয়ে উঠেছে, এই ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত।

Advertisement

শুক্রবার তিলক ময়দানের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসি-র দাপট থাকা সত্ত্বেও ৫৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল করে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন নাইজেরীয় স্ট্রাইকার ব্রাইট এনোবাখারে। ব্যবধান বাড়ানোরও সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়। দুর্ভেদ্য ডিফেন্সের তৎপরতায় এই ব্যবধান অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত বজায় রেখেছিল লাল-হলুদ বাহিনী। কিন্তু রক্ষণের ভুলে গোল শোধ করে দেন হায়দরাবাদের স্পেনীয় ফরোয়ার্ড আরিদানে সান্তানা।

ম্যাচের পর রবি ফাউলারের সহকারি গ্রান্ট বলেন, “একেবারে শেষে গোল খাওয়াটা খুব কষ্টকর। আমরা সারা ম্যাচেই নিয়ন্ত্রণ রেখেছিলাম। কিন্তু একটা (খারাপ) ভুলই সব শেষ করে দিল। এটা মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর। তবে এই খেলা প্রমাণ করে যে সেরা চার দলের সঙ্গে লড়াই করার যোগ্যতা পাওয়া থেকে খুব দূরে নেই।”

Advertisement

জানুয়ারির দলবদলে একাধিক ভাল ফুটবলার দলে নিয়ে এসেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল, যাঁরা আসার ফলে দলটার চেহারা অনেক বদলেছে। এনোবাখারে, ডিফেন্ডার রাজু গায়কোয়াড়, অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়ের পর দ্বিতীয় দফায় আসেন গোলকিপার সুব্রত পাল, ডিফেন্ডার সার্থক গোলুই ও মিডফিল্ডার সৌরভ দাস। এঁরা আসায় দলের রক্ষণ ও মাঝমাঠ অনেক শক্তিশালী হয়েছে। অ্যান্টনি পিলকিংটন, জা মাঘোমার সঙ্গে ব্রাইট আক্রমণেও শক্তি বাড়িয়েছেন। এই কারণেই একটা ভাল জায়গায় আসতে অনেক সময় লেগে যায় তাঁদের।

গ্রান্ট এই প্রসঙ্গে বলেন, “সঠিক খেলোয়াড়দের দলে আনতে অনেক সময় লেগে গেল আমাদের। সৌরভ দাস, সার্থক গোলুইরা বেশ ভাল ফুটবলার। আমরা সুযোগ পেলে এদের আগেই সই করাতাম। গত এগারোটা ম্যাচে আমাদের উন্নতি দেখেই নিশ্চয়ই সেটা বোঝা গিয়েছে।”

এ দিনের ম্যাচে লাল-হলুদ ব্রিগেডের একমাত্র গোলদাতা ব্রাইটের প্রশংসা করে ফাওলারের সহকারি বলেন, “ব্রাইট যে অসাধারণ ফুটবলার তা তো সবাই জানে। ও আমাদের দলের একজন বিশেষ খেলোয়াড়। ও দলে আরও সুযোগ পাবে। আশা করি, ও আমাদের আরও পয়েন্ট অর্জন করতে সাহায্য করবে। দল হিসেবে আমরা যথেষ্ট উন্নতি করছি বলেই এটা হচ্ছে।”

শুক্রবার এই ড্রয়ের জেরে সেমিফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি (১৬ ম্যাচে ৩৪) ও এটিকে মোহনবাগানের (১৬ ম্যাচে ৩৩) জায়গা পাকা হয়ে গেল। ১৭ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে হায়দরাবাদ আপাতত তিন নম্বরে থাকলেও এফসি গোয়া (১৬ ম্যাচে ২৩), নর্থইস্ট ইউনাইটেডের (১৬ ম্যাচে ২৩) ম্যাচের সংখ্যা যেহেতু কম, তাই তাদের সেরা চারে টিকে থাকার লড়াইটা কঠিন হয়ে গেল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement