Sandesh Jhingan

প্রেম দিবসে ভর সন্ধেয় ম্যাচ, তবু আক্ষেপ নেই প্রীতম, সন্দেশদের

ফাগুন ও ফেব্রুয়ারির আগুনে খুব ভাব। তাই তো বেশ গুটি গুটি পায়ে জুটিদের বুকে জানান দিচ্ছে, সেদিন শুধুই প্রেমের।

Advertisement

সব্যসাচী বাগচী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:০২
Share:

ফুটবলের মাঝেও দেদার প্রেমের উষ্ণতা নিচ্ছেন এটিকে মোহনবাগানের দুই ডিফেন্ডার।

সামনেই ১৪ ফেব্রুয়ারি। পয়লা ফাল্গুন। ফাগুন ও ফেব্রুয়ারির আগুনে খুব ভাব। তাই তো বেশ গুটি গুটি পায়ে জুটিদের বুকে জানান দিচ্ছে, সেদিন শুধুই প্রেমের। ভ্যালেন্টাইন দিবস।

Advertisement

এমনই দুই জুটি হল সন্দেশ জিঙ্ঘান-ইভাঙ্কা এবং প্রীতম কোটাল-সোনেলা পাল। জাতীয় দলের দুজনেই বেশ নামজাদা ডিফেন্ডার। বিপক্ষের স্ট্রাইকাররা ওঁদের নিয়ে বেশ চাপে থাকেন। তবে প্রেম নিয়ে বেশ খোলামেলা এটিকে মোহনবাগানের দুই প্রহরী। এবারের ১৪ ফেব্রুয়ারি আবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে সন্ধেবেলা ম্যাচ। তবুও ওঁদের আক্ষেপ নেই। ভালবাসার মানুষ তো সঙ্গেই রয়েছেন। তাছাড়া সেদিন রাতে দলের তরফে প্রেম দিবসের জন্য পার্টি দেওয়াও হবে।

সন্দেশ রুশ বান্ধবীর প্রেমে পাগল। প্রীতমও বরানগরের বাঙালি মেয়ে সোনেলার সোহাগে মজে রয়েছেন। ওঁদের ‘মনের মানুষ’ লিগ তালিকার শীর্ষে যাওয়ার লক্ষ্যে লড়ছেন। তখন তাঁদের ছেড়ে প্রেমিকাদের যে দূরে থাকা দায়। তাই ইভাঙ্কা, সোনেলার ঠিকানা এখন গোয়ার টিম হোটেল। তেমনই রয় কৃষ্ণ, এদু গার্সিয়া, হাভি হারনান্ডেজ, শুভাশিস বসু, ডেভিড উইলিয়ামসের স্ত্রী-বান্ধবীদের ঠিকানাও এখন গোয়া।

Advertisement

প্রেমের জোয়ারে ভাসাবে দোঁহারে। এটাই কি গুনগুন করছেন সন্দেশ, ইভাঙ্কা? ছবি - ইনস্টাগ্রাম।

ইভাঙ্কা একই সঙ্গে পেশাদার চিত্রগ্রাহক এবং মডেলও। ছবি আঁকতেও পছন্দ করেন। সন্দেশ ভালবেসে প্রেমিকাকে ‘পূজা’ নামে ডাকেন। বলছিলেন, “পূজা পাশে ছিলই বলে তো ফিরে মাঠে ফিরে আসতে পারলাম। কঠিন সময়ে ও ভরসা জুগিয়েছিল। পূজা আমার সবচেয়ে বড় ভরসা। আসলে পূজা খুবই ভাল মনের মানুষ। ও সঙ্গে থাকলে দারুণ শান্তি পাই। পরিবারের সবাই ওকে খুবই পছন্দ করে।”

প্রেমিকাকে নিয়ে সন্দেশ দারুণ রোম্যান্টিক হলেও প্রীতম একটু লাজুক স্বভাবের। বলছিলেন, “২০১২ সালে সাইয়ের মাঠে সোনেলার সঙ্গে আলাপ। মনের কথা জানাতে প্রায় দুই বছর সময় লেগে যায়। এমনই একটা ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ওকে মেসেজ করে মনের কথা বলেছিলাম। সেই আমাদের পথ চলা শুরু। ওকে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারলেও সোনেলা আমাকে খুব বোঝে। দুই বাড়ির তরফ থেকেও কোনও দিন আপত্তি ছিল না। তাই আইএসএল শেষ হলে বিয়েটাও সেরে নেব।”

ইভাঙ্কা নেট মাধ্যমে বেশ সক্রিয়। প্রায়শই নিজেদের ঘনিষ্ট মুহূর্তের ছবিও পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। প্রেমিকের উদ্দেশে লিখেছেন, “তুমি আমার জীবনে আসার পর এই জীবন পূর্ণতা পেয়েছে। খুব ভাল থেকো ভালবাসা। আরও এগিয়ে যাও।”

আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে....প্রীতমকে বলছেন সোনেলা। ছবি - ফেসবুক।

সোনেলা অবশ্য ফুটবলার থেকে মানুষ প্রীতমে বেশি মজে। বললেন, “ওর সাথে ৯ বছর কাটিয়ে ফেললাম। প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য প্রীতমের লড়াই খুব কাছ থেকে দেখেছি। আবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানো থেকে বাড়ি, গাড়ি কেনা সেগুলোরও আমি সাক্ষী। আমার মানুষটা একদম বদলায়নি। সেলিব্রেটি হলেও ওর অহং বোধ নেই। তাই ওকে এত ভালবাসি।”

ভ্যালেন্টাইন দিবসে আবার ম্যাচ। সন্দেশ, প্রীতম স্বভাবতই ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন। কারণ, মুম্বইকে ছাড়িয়ে যে শীর্ষে যেতে হবে। সেটাই এখন মূল লক্ষ্য। তাই প্রীতম শেষে বলে দিলেন, “ওর হাতে কোনওদিন উপহার তুলে দিইনি। আসলে মনের মিলন থাকলেই হল। সেটা থাকলে উপহার গৌন হয়ে যায়।”

সত্যি তো। ভালবাসার আবার বিশেষ কোনও দিনের জন্য তোলা থাকে নাকি! ভালবাসার মানুষগুলো একসঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকলে রোজই যে ভ্যালেন্টাইন দিবস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement