নজরে: আইএসএল ডার্বি দিয়েই পরীক্ষা শুরু ফাওলারের। ফাইল চিত্র
কলকাতার ফুটবলে এ বারের আইএসএল একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করতে চলেছে। প্রথম বার ভারতের এই সেরা লিগে খেলবে কলকাতার দুই প্রধান এটিকে মোহনবাগান এবং এসসি ইস্টবেঙ্গল।
এ বারের প্রতিযোগিতা এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে একটা বড় পরীক্ষাও। কারণ, এটিকে-মোহনবাগানের মতো একটা তৈরি থাকা দল এবং পরীক্ষিত বিদেশিদের নিয়ে তারা নামছে না। লাল-হলুদ শিবির প্রস্তুতি শুরুও করেছে কিছুটা পরে। ফলে সমর্থকেদের চিন্তা রয়েছে প্রিয় দলকে নিয়ে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলে খেলার সুবাদে জানি, লাল-হলুদ জার্সিটাই একজন ভারতীয় ফুটবলারের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। ইস্টবেঙ্গল আবার আইএসএল অভিযান শুরু করছে ২৭ নভেম্বর সেই ঐতিহাসিক ডার্বি দিয়ে। মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল-দ্বৈরথ দেখার জন্য আমি শুক্রবার থেকেই ডায়েরিতে লিখে রেখেছি ওই দিন বিকেলের পরে কোনও কাজ রাখা চলবে না। প্রতিযোগিতার প্রায় শুরুতেই বড় ম্যাচ দেওয়ার ব্যাখ্যা হতে পারে, মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল হল ভারতীয় ফুটবলের দু’টো প্রাণকেন্দ্র। করোনা অতিমারির আতঙ্ক অতিক্রম করে বাংলার ও ভারতের ফুটবলে সমর্থকদের আগ্রহ, উদ্দীপনা ফেরাতেই হয়তো এই পরিকল্পনা।
এসসি ইস্টবেঙ্গল কিছুটা পরে প্রস্তুতি এবং শুরুতেই ডার্বির জন্য চিন্তিত হলেও আমি সেই দলে নেই। দলটার সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল নামটা মাথায় রাখতে হবে। ক্লাবটা ভারতীয় ফুটবলে ১০০ বছর আগে পা ফেলা শুরু করেছিল একাধিক অনিশ্চয়তা নিয়ে। কিন্তু থেমে যায়নি। আমি নিশ্চিত, এই কঠিন পরীক্ষাতেও সসম্মানে উত্তীর্ণ হবে লাল-হলুদ শিবির।
আরও পড়ুন: আইএসএল: মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের কবে কোন ম্যাচ দেখে নিন
এত আশাবাদী হওয়ার কারণ বেশ কিছু ভাল বিদেশি ফুটবলার এসেছে। সবার উপরে থাকছেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের হয়ে দীর্ঘদিন খেলা রবি ফাওলারের মতো কোচ। তাঁর অভিনব প্রশিক্ষণে রয়েছেন সেট-পিস কোচ। আধুনিক ফুটবলে কিন্তু সেট-পিসই অনেক ম্যাচে তফাত গড়ে দেয়। দলে শঙ্কর রায় ও দেবজিৎ মজুমদারের মতো অভিজ্ঞ গোলকিপার রয়েছে। রক্ষণটাও বেশ ভাল। ড্যানি ফক্স, অস্ট্রেলিয়ার ‘এ’ লিগের দল ব্রিসবেন রোর থেকে আসা স্কট নেভিলদের মতো পেশাদারদের মরিয়া প্রয়াস থাকবে খেলার জাত চেনানোর।
আরও পড়ুন: হাবাসের জন্যই এগিয়ে এটিকে-মোহনবাগান
মাঝমাঠে মাঠি স্টেইনমান, জা মাগোমা বড় সম্পদ। সঙ্গে উইগান অ্যাথলেটিকের হয়ে খেলা অ্যান্টনি পিলকিংটন। যারা কয়েক বছর আগেও ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলেছে। আক্রমণে অ্যারন জোশুয়া আমাদির সঙ্গে জেজে, বলবন্ত সিংহেরাও নিজেদের চেনাতে মরিয়া হবে। পাশাপাশি, ভারতীয়দেরও নিজেদের সেরা মঞ্চে চেনানোর তাগিদ রয়েছে। সঙ্গে ফাওলারের মগজাস্ত্রের অভিনবত্ব। এই সব রসদ ঠিক মতো কাজে লাগালে ডার্বি জিতে অঘটন ঘটাতেই পারে এসসি ইস্টবেঙ্গল।