ইস্টবেঙ্গল ও জামশেদপুর ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি-টুইটার।
ইস্টবেঙ্গল - ০ জামশেদপুর-০
অবশেষে পয়েন্ট পেল ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার ১০ জনে নেমে গিয়েছিল রবি ফাওলারের ছেলেরা। খেলার ২৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইউজেনসেন লিংডো। ৬৬ মিনিটের বেশি সময় ১০ জনের লাল-হলুদ শিবিরকে সামনে পেয়েও গোল করতে পারেনি জামশেদপুর। গোলশূন্য অবস্থায় খেলা শেষ হওয়ায় ১ পয়েন্ট ঘরে তুলল ইস্টবেঙ্গল।
এটিকে-মোহনবাগান শিবিরকে হারিয়ে ফুটছিল জামশেদপুর। তাদের স্ট্রাইকার ভাল্সকিসও গোলের মধ্যে ছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ কীভাবে ভাল্সকিসকে থামায়, সেটাই ছিল দেখার। ২৫ মিনিটে লিংডো মাঠ ছাড়ার পরে জামশেদপুরের কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গোল করতে না পারলে তো ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। তাছাড়া ভাগ্যও এ দিন সহায় ছিল লাল-হলুদের। এজের হেড ইস্টবেঙ্গলের বার কাঁপিয়ে ফিরে আসে। তার আগে অনিকেত যাদব সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন। গোলকিপার শঙ্কর রায় এবং তাঁর পরিবর্ত হিসেবে নামা দেবজিৎ মজুমদার বেশ কয়েকবার ইস্টবেঙ্গলকে বিপদের হাত থেকে বাঁচান।
অন্য দিকে লাল-হলুদের পিলকিংটন এবং জাক মাঘোমা এ দিন নজর কাড়েন। গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল তাঁদের দলও। ডান প্রান্ত থেকে উড়ে আসা বলে মাথা ছোঁয়ালেই গোল পেতেন লাল-হলুদের ডিফেন্ডার স্কট নেভিল। কিন্তু মাথায় বলে ঠিকঠাক সংযোগ না হওয়ায় সে যাত্রায় গোল হয়নি। শেষের দিকে ১০ জনে নেমে যায় জামশেদপুরও। কিন্তু সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে। এই ড্র ফাওলারের ছেলেদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে।