গোয়া ও নর্থইস্ট ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি-সোশ্যাল মিডিয়া।
গোয়া ও নর্থইস্ট ইউনাইটেডের খেলা ১-১ গোলে শেষ হল। তার ফলে ৩ ম্যাচ থেকে ৫ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবলের দ্বিতীয় স্থানে নর্থইস্ট। অন্য দিকে ২ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের এটিকে-মোহনবাগান। এফসি গোয়া অনেকটাই পিছিয়ে। ৭ নম্বরে রয়েছে তারা। এখনও পর্যন্ত জয় অধরা গোয়ার।
সোমবার ম্যাচের বেশিরভাগ সময় বল নিয়ন্ত্রণে ছিল এফসি গোয়ার। কিন্তু বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখলেও গোল করে ম্যাচ জিততে পারেনি গোয়া। অন্য দিকে এগিয়ে গিয়েও নর্থইস্ট ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে পারেনি।
খেলার ৪০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন সাইলা। এ বারের টুর্নামেন্টে দেখা যাচ্ছে গোয়ার ডিফেন্ডাররা মোক্ষম সময়ে ভুল করে ফেলছেন। তার ফলে অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছে বিপক্ষ দল। এ দিন সাইলাকে নিজেদের পেনাল্টি বক্সের ভিতরে ফেলে দেন গোয়ার ডিফেন্ডার ইভান গনজালেজ। রেফারি পেনাল্টি দেন নর্থইস্টকে। পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন সাইলা। এর ঠিক পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরায় গোয়া।
আরও পড়ুন: ডার্বি হারের ধাক্কা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর পরীক্ষায় ইস্টবেঙ্গল
এ বারের টুর্নামেন্টে নজর কেড়েছেন এফসি গোয়ার ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেজ ও ইগর অ্যাঙ্গুলো। দু'জনের মধ্যে বোঝাপড়াও বেশ ভাল। বাঁ দিক থেকে ব্র্যান্ডনের নীচু ক্রস থেকে ফ্লিক করে গোল করেন অ্যাঙ্গুলো। নর্থইস্ট গোলকিপার শুভাশিস রায়চৌধুরীর কিছুই করার ছিল না।
বিরতির পরে কোনও দলই গোলসংখ্যা আর বাড়াতে পারেনি। গোয়া ডান দিক থেকে একাধিক বার আক্রমণ শানালেও, সে গুলো থেকে গোল আসেনি। শুভাশিসের পরিবর্ত হিসেবে নামা নর্থইস্ট গোলকিপার গুরমীত সিংহ একবার গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসে দলকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন। একবার নোগুয়েরার শট নর্থইস্টের পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। দ্বিতীয়ার্ধে কোনও দলই প্রতিপক্ষের গোলমুখ খুলতে পারেনি। ফলে ম্যাচ অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়।
মাঠের বাইরেও ছিল উত্তেজনার ফুলকি। দু'দলের কোচই মেজাজ হারিয়ে একে অপরের দিকে তেড়ে যান।