ইস্টবেঙ্গল-নর্থইস্ট ম্যাচের একটি মুহূর্ত।
নর্থইস্ট-২ ইস্টবেঙ্গল-০
খারাপ সময় আর কাটছে না ইস্টবেঙ্গলের। আইএসএলে টানা তিন ম্যাচ হারল লাল-হলুদ শিবির। এটিকে-মোহনবাগান, মুম্বই সিটির পরে শনিবার নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছে ২-০ গোলে হেরে গেল রবি ফাওলারের দল। তিন-তিনটি ম্যাচ হয়ে গেলেও এখনও পয়েন্টের মুখ দেখল না লাল-হলুদ ব্রিগেড।
এ দিন শুরুটা অবশ্য খারাপ করেনি ইস্টবেঙ্গল। বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেই খেলছিলেন পিলকিংটনরা। গোলের সুযোগ অবশ্য সে ভাবে তৈরি করতে পারেননি তাঁরা। তবে বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি কিক আদায় করে নিয়েছিল ফাওলারের দল। কিন্তু সেট পিসকে কাজে লাগাতে পারেননি পিলকিংটনরা। আধুনিক ফুটবলে সেট পিস থেকে অনেক গোল হয়। ইস্টবেঙ্গল সেই জায়গায় বার বার ব্যর্থ হচ্ছে।
যদিও খেলার ২১ মিনিটে পেনাল্টি পেলেও পেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। মাঘোমাকে পেনাল্টি বক্সের ভিতরে ফেলে দেন নর্থইস্টের আশুতোষ মেহতা। রেফারি অবশ্য সেই যাত্রায় পেনাল্টি দেননি। টাচলাইনের ধারে দাঁড়ানো লাল-হলুদ কোচকে বেশ অসন্তুষ্টই দেখায়। ৩৩ মিনিটে নর্থইস্ট এগিয়ে যায় সুরচন্দ্র সিংহের আত্মঘাতী গোলে। মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে এই সুরচন্দ্রের ভুলেই গোল করে গিয়েছিলেন লিফন্দ্রে। এ দিন সেই সুরচন্দ্রের ভুলেই পিছিয়ে পড়ে শতাব্দী ছোঁয়া ক্লাব।
বিরতির পরে রণনীতি বদলাবেন ফাওলার, এমন প্রত্যাশাই করেছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু ছবি বদলায়নি দ্বিতীয়ার্ধেও। ছন্দ খুঁজে পায়নি ইস্টবেঙ্গল। ফুটবলারদের ক্লান্ত দেখিয়েছে। নর্থইস্টের পেনাল্টি বক্সে সেন্টার ভাসানো হলেও পিছন থেকে প্লেয়ার তুলে আনা সম্ভব হয়নি লাল-হলুদের পক্ষে। ফলে নর্থইস্ট ইউনাইটেড ডিফেন্ডাররা কোনও সময়তেই চাপে ছিলেন না। একাধিক পরিবর্তন এনেও ফাওলার ম্যাচের রং বদলাতে পারেননি। উল্টে খেলার একেবারে শেষ লগ্নে রোছারজিলা ব্যবধান বাড়ান নর্থইস্টের হয়ে। সমতা ফেরানোর জন্য ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা উপরে উঠে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে নর্থইস্ট ২-০ করে যায়।