ISL 2020

ভাল্সকিসের দাপটে ম্লান কৃষ্ণ, প্রথম হার এটিকে-মোহনবাগানের

এ দিন হাবাসকে হারিয়ে গত বারের হারের প্রতিশোধই হয়তো নিলেন কোয়েল। 

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:৫১
Share:

গোল করলেও দিনটা রয় কৃষ্ণর ছিল না। ছবি-সোশ্যাল মিডিযা।

জামশেদপুর - ২ এটিকে-মোহনবাগান -১

Advertisement

(ভাল্সকিস-২) (কৃষ্ণ)

এই মরসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেল এটিকে-মোহনবাগান। টানা তিন ম্যাচ জিতে মেঘের উপর দিয়ে হাঁটছিল আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের দল। সোমবার জামশেদপুরের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেল এটিকে-মোহনবাগান। প্রথম বার গোলও হজম করলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য।

Advertisement

হাবাস ও ওয়েন কোয়েল একে অপরের পরিচিত। গত বারের ফাইনালে হাবাস হারিয়েছিলেন কোয়েলকে। তিনি তখন চেন্নাইয়িনের কোচ। এ বার দল বদলেছেন কোয়েল। তাঁর হাতে উঠেছে জামশেদপুরের রিমোট কন্ট্রোল। এ দিন হাবাসকে হারিয়ে গত বারের হারের প্রতিশোধই হয়তো নিলেন কোয়েল।

এ দিনের ম্যাচে নামার আগে ফুটছিলেন রয় কৃষ্ণ ও ভাল্সকিস। ৩ ম্যাচে দুই স্ট্রাইকারই ৩টি করে গোল করে ফেলেছিলেন। এ দিন ভাল্সকিসের কাছে ম্লান দেখাল কৃষ্ণকে। জামশেদপুরের স্ট্রাইকারের জন্যই প্রথম বার এটিকে-মোহনবাগান ডিফেন্সকে নড়বড়ে দেখাল।

৩০ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে গোল করেন ভাল্সকিস। বলের ফ্লাইট বুঝতে ভুল করেন সন্দেশ। সেই সুযোগে ছোবল মারেন ভাল্সকিস। অরিন্দমের পক্ষে সেই হেড বাঁচানো সম্ভব হয়নি। গোলের ঠিক আগের মুহূর্তে জামশেদপুরের হার্টলির হেড গোললাইন থেকে বাঁচান এটিকে-মোহনবাগানের ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল।

প্রথম গোলের পরে জামশেদপুরের চাপ বাড়ে। সেই সময়ে হাবাসের দলকে ফিকেই দেখিয়েছে। তার উপরে দলের ভরসা রয় কৃষ্ণকে অকেজো করে দেন বড় চেহারার হার্টলি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরাতে পারতেন রয় কৃষ্ণ। ডান প্রান্ত থেকে প্রবীর দাস গড়ানে সেন্টার করেছিলেন।কৃষ্ণর ফ্লিক বাঁচান জামশেদপুর গোলকিপার রেহনেশ। ৬৬ মিনিটে ভাল্সকিস ব্যবধান বাড়ান। এটিকে-মোহনবাগানের ডিফেন্সকে অসহায় দেখায় সেই সময়ে।

মরিয়া হাবাস ম্যাচে ফেরার জন্য কয়েকটি পরিবর্তনও আনেন। মনভীর সিংহ নামার পরে জামশেদপুরের পেনাল্টি বক্সে আক্রমণ তুলে নিয়ে যায় এটিকে-মোহনবাগান। গোলের সুযোগও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তা থেকে গোল হয়নি। এটিকে-মোহনবাগানকে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৮০ মিনিট পর্যন্ত। সেই রয় কৃষ্ণই গোল করেন। জামশেদপুরের ফুটবলাররা অফসাইডের দাবি করেন। কিন্তু রেফারি তাতে কর্ণপাত করেননি। প্রযুক্তির সাহায্য নিলে হয়তো ধরা পড়তো রয় কৃষ্ণ অফসাইডেই ছিলেন। খেলার শেষ লগ্নে মনভীর সিংহ গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সেই সঙ্গে অপরাজিত থাকার সুযোগও নষ্ট করেন মনভীর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement