আত্মবিশ্বাসী: খেতাব ধরে রাখাই লক্ষ্য কোচ হাবাসের। ফাইল চিত্র
শুক্রবার আইএসএলের ক্রীড়াসূচি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই মনের মধ্যে সেই পরিচিত উত্তেজনাটা অনুভব করছি। ২৭ নভেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচেই এটিকে-মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ এসসি ইস্টবেঙ্গল। ঐতিহ্যের ডার্বি। বাঙালির চিরকালীন আবেগের লড়াই। গত মরসুমে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন এটিকে কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের রণনীতি আমাকে মুগ্ধ করেছিল। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কখনও হাল ছাড়েন না স্পেনীয় কোচ। অসম্ভব আত্মবিশ্বাসী। নিজের এই লড়াকু মানসিকতা ফুটবলারদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিয়েছেন। যার প্রমাণ গত মরসুমে চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে আইএসএলের ফাইনালেই সকলে দেখেছেন। ম্যাচের আগে অনেকেই চেন্নাইকে এগিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু খেলা শুরু হওয়ার পরেই অন্য ছবি। চেন্নাইকে কার্যত ৩-১ উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এটিকে। শুধু তাই নয়। পুরো প্রতিযোগিতায় অসাধারণ খেলা রয় কৃষ্ণ চোট পেয়ে উঠে গিয়েছিল ৪০ মিনিটে। কখনওই ওর অভাব বুঝতে দেয়নি ডেভিড উইলিয়ামস, এদু গার্সিয়া, প্রবীর দাসেরা।
এটিকে-মোহনবাগানে এ বারও আছে রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামসরা। এদের সঙ্গে ডিফেন্ডার সন্দেশ জিঙ্ঘান, তিরি, শুভাশিস বসু, নিউক্যাসল ইউনাইটেডের যুব দল থেকে উঠে আসা মিডফিল্ডার ব্র্যাড ইনমান যোগ দেওয়ায় শক্তি আরও বেড়েছে। এই কারণেই আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে আমি একটু হলেও এগিয়ে রাখব এটিকে-মোহনবাগানকে।
এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রধান সমস্যা পর্যাপ্ত প্রস্তুতির সময় না পাওয়া। দ্বিতীয়ত, দলের অধিকাংশ ফুটবলারই নতুন। কোচ রবি ফাওলারও সবে দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর কী রণনীতি অধিকাংশ ফুটবলারই হয়তো জানে না। তা ছাড়া বোঝাপড়া গড়ে উঠতে একটু সময় তো দিতেই হবে। এই পরিস্থিতিতে আইএসএলের প্রথম ম্যাচই ডার্বি। এটিকে-মোহনবাগান তুলনায় অনেক ভাল জায়গায় রয়েছে। ফুটবলারেরা অনেক দিন আগে থেকেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। অধিকাংশই গত মরসুমে একসঙ্গে খেলেছে। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াও রয়েছে। কোচ কী চান, তা সকলেই জানে। ডার্বির আগে ফুটবলারেরা কী অবস্থায় রয়েছে তা কেরল ব্লাস্টার্স এফসি-র বিরুদ্ধে উদ্বোধনী ম্যাচেই দেখে নিতে পারবেন হাবাস।
আরও পড়ুন: আইএসএল: মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের কবে কোন ম্যাচ দেখে নিন
কেউ কেউ ভাবতে পারেন, এসসি ইস্টবেঙ্গলের সব বিদেশিই নতুন। তাই তারা কতটা ভয়ঙ্কর দেখার যে হেতু সুযোগ নেই, তাই হাবাস সমস্যায় পড়বেন। আমি কিন্তু একমত নই। অ্যান্টনি পিলক্লিন্টন, জা মাগোমা, ড্যানি ফক্স, স্কট নেভিল, মাঠি স্টেইনমান, অ্যারন জোশুয়া আমাদি— এই ছয় বিদেশি লাল-হলুদে নতুন হলেও অপরিচিত নয়। ইন্টারনেটের যুগে এক মুহূর্তের মধ্যেই জেনে নেওয়া যায় কার কোথায় শক্তি ও দুর্বলতা রয়েছে। আমি নিশ্চিত হাবাসের মতো অভিজ্ঞ কোচের মস্তিষ্কে ইতিমধ্যেই সব তথ্য মজুত হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফাওলার-মন্ত্রে জিততে পারে এসসি ইস্টবেঙ্গল