নজরে: চোট থেকে সেরে উঠে মাঠে ফেরার জন্য তৈরি সন্দেশ। ফাইল চিত্র
এই মুহূর্তে ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার তিনি। সেই সন্দেশ ঝিঙ্গানকে নেওয়ার জন্য লড়াই শুরু হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে-মোহনবাগানের মধ্যে। ভারতের সেরা ডিফেন্ডারের লক্ষ্য অবশ্য বিদেশের ক্লাবে খেলা।
হাঁটুর অস্ত্রোপচারের জন্য গত মরসুমে কেরল ব্লাস্টার্সের হয়ে খেলতেই পারেননি সন্দেশ। লকডাউনে ফুটবল বন্ধ থাকলেও চণ্ডীগড়ে বাড়ির ছাদে নিয়মিত ট্রেনিং করে নিজেকে ফিট করে তুলেছেন। এটিকে-মোহনবাগানের তরফে কয়েক মাস আগেই সন্দেশকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইএসএলের অন্যান্য ক্লাবগুলোও চাইছে তাঁকে। কিন্তু কাউকেই পাকা কথা দেননি ভারতীয় দলের ডিফেন্ডার।
করোনা অতিমারির জেরে পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় সন্দেশকে পাওয়ার ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত ছিল এটিকে-মোহনবাগান। কারণ, ভারতীয় দলের ডিফেন্ডার নিজেও কলকাতায় খেলতে আগ্রহী। কিন্তু গত সপ্তাহে নতুন বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পরে ইস্টবেঙ্গলেরও আইএসএলে খেলা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। লাল-হলুদ শিবিরও এখন সন্দেশকে নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছে। সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গলের তরফে ইতিমধ্যেই সদ্য অর্জুন পুরস্কার পাওয়া ডিফেন্ডারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সন্দেশ অবশ্য এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিদেশে খেলার।
সন্দেশ ছাড়াও ইস্টবেঙ্গলের নজরে রয়েছেন জাতীয় দলের আর এক ডিফেন্ডার নারায়ণ দাস। গত মরসুমে ওড়িশা এফসি-র হয়ে আইএসএলে খেলা এই ফুটবলার এর আগেও লাল-হলুদ শিবিরে ছিলেন। তবে নতুন মরসুমের জন্য ইস্টবেঙ্গলে ভারতীয় ফুটবলার নির্বাচনের কাজ প্রায় শেষ। ইতিমধ্যেই বলবন্ত সিংহ, ইউজেনসন লিংডো, বিকাশ জাইরু- সহ একাধিক তারকার সঙ্গে চুক্তি হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে বিদেশি কোচ ও ফুটবলার চূড়ান্ত করা। জানা গিয়েছে, নতুন বোর্ড গঠনের পরেই বিদেশি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে লাল-হলুদ শিবিরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আইএসএলে খেলার প্রস্তুতি। ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ই-মেলে দরপত্র পাঠাতে হবে প্রতিযোগিতার আয়োজকদের কাছে। ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মুম্বইয়ে এফএসডিএল দফতরে পাঠাতে হবে দরপত্রের কাগজ।