—ফাইল চিত্র।
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো বিপক্ষের আগ্রাসী ফুটবলকে পাল্টা-আক্রমণ দিয়েই কোণঠাসা করার পরিকল্পনা ঘুরছে এটিকে-মোহনবাগানের স্পেনীয় কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের মাথায়।
তিনি জানেন, ওড়িশা এফসি কোচ স্টুয়ার্ট ব্যাক্সটারের তুরুপের তাস দুই ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার। যাঁরা যে কোনও মুহূর্তে বিপক্ষ রক্ষণে সামান্য সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগিয়ে গোল করতে সিদ্ধহস্ত। এ ছাড়াও, ওড়িশা রক্ষণে রয়েছেন স্টিভন টেলর। যাঁর আবার রয় কৃষ্ণ এবং ডেভিড উইলিয়ামসের সঙ্গে ওয়েলিংটন ফিনিক্সের জার্সি গায়ে ‘এ’ লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
ফলে ওড়িশা এফসি কোচ যেমন জানেন, হাবাস প্রতি-আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলতে পছন্দ করেন, তেমনই রয় কৃষ্ণ-ডেভিড উইলিয়ামস যুগলবন্দি সম্পর্কেও তথ্য পাবেন টেলরের কাছ থেকে। তাঁকে দিয়েই কলকাতার দলটির এই দুই ফরোয়ার্ডকে নিষ্প্রভ করার ঘুঁটি সাজাতে পারেন ব্যাক্সটার। এই অনুমান করেই হয়তো, বৃহস্পতিবারের ম্যাচে হাবাস রণনীতি কিছুটা পাল্টানোর পরিকল্পনা করছেন। ভাবছেন, আক্রমণ দিয়ে বিপক্ষের আক্রমণকে ভোঁতা করার নকশা সাজাবেন।
হাবাসের সেই রণনীতি অনুযায়ী, ওড়িশার বিরুদ্ধে দলে জায়গা পেতে পারেন ব্রিসবেন রোর থেকে এটিকে-মোহনবাগান দলে খেলতে আসা আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার ব্র্যাড ইনম্যান। যাঁকে হাবাস এসসি-ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে কিছু সময় খেলিয়ে দেখে নিয়েছেন। আর ডেভিড উইলিয়ামসের বদলে কৃষ্ণের সঙ্গে শুরু করতে পারেন বড় ম্যাচে দর্শনীয় গোল করা মনবীর সিংহ। সে ক্ষেত্রে বিপক্ষ চাপে পড়বে রয়-মনবীর-জাভি হার্নান্দেস-ইনম্যান চতুর্ভুজকে রুখতে গিয়ে। ডার্বির জয়ের পরে এখন আট দিনে তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে এটিকে-মোহনবাগানকে। সে কারণেই ফুটবলারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ব্যবহার করতে চাইছেন এটিকে-মোহনবাগান কোচ।