গোলের পর উৎসব যদিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের স্ট্রাইকার ব্রাইট। ২৩ বছরের নাইজিরিয়ার এই স্ট্রাইকার বুঝিয়ে দিলেন তাঁকে নিয়ে এসে কোনও ভুল করেনি লাল-হলুদ। ৭৯ মিনিটের মাথায় একক দক্ষতায় গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন বুধবার। যদিও ২ মিনিটের মধ্যেই সেই গোল শোধ করে দেয় গোয়া। ১-১ গোলে শেষ হয় ম্যাচ।
প্রথমার্ধে গোয়া একের পর এক সুযোগ পেলেও ইস্টবেঙ্গল গোলের সামনে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দেবজিত মজুমদার। তিনি না থাকলে গোয়া হয়তো প্রথমার্ধেই ২ গোলে এগিয়ে যেতে পারতো। সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনেও। সেট পিস থেকে দুটো সুযোগ আসে হেড করে বল গোলে ঢোকানোর। কিন্তু ২বারই ব্যর্থ হন ড্যানিয়াল ফক্সরা। মাঝমাঠে মাঘোমা এবং মহম্মদ রফিকের না থাকা যেন বার বার চোখে পড়ছিল। বলের দখল অনেক বেশি নিচ্ছিলেন গোয়ার ফুটবলাররা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ফক্স। তিনি বেরিয়ে যেতে যেন জেগে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। ১০ জনের ইস্টবেঙ্গল বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে গোয়ার বিরুদ্ধে। মাঘোমা মাঠে নামতে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বেড়ে যায়। সেই মাঘোমার বাড়ানো পাস থেকেই গোল করেন ব্রাইট। মাঝমাঠে বল পেয়ে একের এক ফুটবলারকে কাটিয়ে পৌঁছে যান গোলের সামনে। ৪ জন ফুটবলারকে কাটিয়ে সেই গোল যেন মুগ্ধ করে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকেও। গোল খাওয়ার ২ মিনিটের মধ্যে সেই গোল শোধ করে দেয় গোয়া। দেবেন্দ্র যখন হেড করছেন কোনও রক্ষণভাগের ফুটবলারকে দেখা গেল না তাঁর সামনে।
৯ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কোচ রবি ফাওলারকে ভাবতে হবে দলের ডিফেন্স নিয়ে। ফক্সকে আগামী ম্যাচে না পাওয়া আরও বিপদে ফেলবে দলকে। বার বার প্রথম একাদশে পরিবর্তনও বিপদে ফেলছে দলকে। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে অনেকগুলো প্রশ্ন ফাওলারের সামনে।
আরও পড়ুন: এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের আগে বরখাস্ত সুনীলদের কোচ
আরও পড়ুন: আই লিগেও জৈব সুরক্ষা বলয়, কঠোর নিয়মের বেড়াজালে ফুটবলাররা