জয়সূচক গোলের পর বিপিন সিংহের লাফ। ছবি - আইএসএল
খেলা শেষ। শেষ মুহূর্তে সন্দেশ ও অরিন্দমের ভুল। এটিকে মোহনবাগানকে ফাইনালে হারিয়ে প্রথমবার আইএসএল জিতল মুম্বই সিটি এফসি। একই সঙ্গে চলতি প্রতিযোগিতায় হাবাসের দলের বিরুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন সার্জিও লোবেরা।
৯০ মিনিট- অরিন্দম ও সন্দেশের ভুলে শেষ দিকে গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দিলেন বিপিন সিংহ। মাথা ঠাণ্ডা রেখে বিপিনের দিকে পাশ বাড়িয়েছিলেন ওগবেচে।
৮৫ মিনিট- এ বার হলুদ কার্ড দেখলেন তিরি। লেনির বদলে জয়েস রানেকে মাঠে নামালেন হাবাস।
৮৪ মিনিট- হুগো বুমৌসের বদলে মাঠে এলেন গোদ্রাদ।
৮২ মিনিট- মাত্র ৮ মিনিটের খেলা বাকি। এখনও খেলা ১-১।
৭২ মিনিট- গোল প্রায় করে ফেলেছিলেন হাভি। তরুণ মনবীরের থেকে বল পেয়ে শট মারেন স্প্যানিশ মিড ফিল্ডার। কিন্তু তাঁর শট বাঁচিয়ে মুম্বইকে জিইয়ে রাখলেন অমরিন্দর সিংহ।
৭১ মিনিট- লে ফন্দ্রেকে তুলে নিয়ে ওগবেচেকে মাঠে নামালেন সার্জিও লোবেরা।
৬১ মিনিট- অফ সাইডের জন্য এটিকে মোহনবাগানের গোল বাতিল করলেন রেফারি তেযশ নাভেঙ্কর। প্রতিবাদে সরব রয় কৃষ্ণ ও হাবাস। হাভির ফ্রি-কিক মহম্মদ রকিপের ঊরুতে লেগে জালে ঢুকে গেলেও গোল পেল না সবুজ-মেরুন। কারণ রেফারি ও লাইন্সম্যানের দাবি রয় কৃষ্ণ অফ সাইডে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
৫৮ মিনিট- অরিন্দমকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ সান্তানা। বাঁ দিকে উড়ে গিয়ে গোল বাঁচালেন বঙ্গ সন্তান।
৫৫ মিনিট- এ বার এটিকে মোহনবাগানের হয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলেন প্রীতম কোটাল। তিনিও হুগো বুমৌসকে ধাক্কা দিয়ে বসেন।
৫৩ মিনিট- ফের রুখে দাঁড়ালেন অরিন্দম। এ বার রেনিয়ারর শট বাঁচিয়ে দিলেন।
৪৯ মিনিট- হুগো বুমৌসকে ফাউল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখলেন কার্ল ম্যাকহিউ।
৪৭ মিনিট- মনবীর সিংহের শট বাইরে চলে গেল। খেলা এখনও ১-১।
৪৬ মিনিট- দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়া অমেয় রানাওয়াডের পরিবর্তে মাঠে এলেন মহম্মদ রকিপ।
প্রথমার্ধের শেষে ফলাফল ১-১। ডেভিড উইলিয়ামসের গোলে ১৮ মিনিটে এটিকে মোহনবাগান এগিয়ে যাওয়ার পরে, ২৯ মিনিটে তিরি-র আত্মঘাতী গোলে সমতা ফেরায় মুম্বই।
৪৬ মিনিট- শুভাশিস বসুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাথায় গুরুতর চোট পেলেন অমেয় রানাওয়াডে। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। এই ঘটনার জন্য বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে।
৪৬ মিনিট- ফের একবার একক দক্ষতায় বল নিয়ে এগোলেও গোল করতে পারলেন না রয় কৃষ্ণ।
৩১ মিনিট- হুগো বুমৌসের জোরালো শট বাঁচিয়ে দলের পতন রোধ করলেন অরিন্দম।
২৯ মিনিট- আমেদ জাহুর দুরপাল্লার শটকে বাইরে পাঠাতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসলেন তিরি। সমতা ফেরাল সার্জিও লোবেরার দল। সাইড লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে বিরক্ত হাবাস।
২০ মিনিট- কার্ল ম্যাকহিউকে ফাউল করার জন্য ফাইনালের প্রথম হলুদ কার্ড দেখলেন সান্তানা।
১৮ মিনিট- বড় মঞ্চে বড় ফুটবলাররের ঝলক। ফের একবার রয় কৃষ্ণর পাশ থেকে গোল করে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দিলেন ডেভিড উইলিয়ামস।
১২ মিনিট- হাভি ফ্রি কিক মারলেও দলের লাভ হল না। তাঁর শট পোস্টের বাইরে চলে গেল।
১০ মিনিট- বিপিন সিংহকে বক্সে ফাউল করলেন প্রীতম। যদিও রেফারি পেনাল্টি দেন নি। ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেল হাবাসের দল।
৮ মিনিট- রেইনিয়ের নিখুঁত পাশ থেকে গোল করার চেষ্টা করেন লে ফন্দ্রে। তবে তাঁর নির্বিষ শট বাইরে চলে যায়।
৬ মিনিট- এ বার মাঝমাঠের ফুতবলারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিলেন ডেভিড উইলিয়ামস। তবে তাঁর শট বিপক্ষের রক্ষণের গায়ে লেগে ফিরে এল।
৫ মিনিট- বল নিয়ে একক দক্ষতায় মুম্বইয়ের বক্সে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রয় কৃষ্ণ। তবে বল বাইরে চলে যায়।
৩ মিনিট- লে ফন্দ্রেকে ফাউল করলেন লেনি। মুম্বইয়ের অনুকুলে ফ্রি কিক দিলেন রেফারি নাগভেঙ্কর।
খেলা শুরু। দুই দল শুরু থেকেই আক্রমণে যাচ্ছে। মাঝমাঠ দখলের লড়াই চলছে জোর কদমে।
মুম্বই সিটি এফসি-র প্রথম একাদশ: অমরিন্দর সিংহ (গোলরক্ষক), অমেয় রানাওয়াডে, মুর্তাদা ফল, হার্নান সান্তানা, ডি ভিগ্নেশ, আমেদ জাহু, রাওলিন বোর্জেস, রেইনিয়ের ফার্নান্ডেজ, হুগো বুমৌস, বিপিন সিংহ, অ্যাডাম লে ফন্দ্রে
এটিকে মোহনবাগানের প্রথম একাদশ: অরিন্দম ভট্টাচার্য (গোলরক্ষক), প্রীতম কোটাল, সন্দেশ ঝিঙ্গন, তিরি, শুভাশিস বসু, কার্ল ম্যাকহিউ, হাভি হার্নান্ডেজ, লেনি রড্রিগেজ, মনবীর সিংহ, ডেভিড উইলিয়ামস, রয় কৃষ্ণ।
৪-২-৩-১ ছকে দল মাঠে নামাবেন সার্জিও লোবেরা।
ফাইনালের জন্য ৩-৫-২ ছকে দল সাজিয়েছেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস।
শক্তিশালী দল নামাচ্ছে মুম্বই। অ্যাডাম লে ফন্দ্রে শুরু থেকে খেললেও বেঞ্চে আছেন বার্তলোমেউ ওগবেচে ও ফর্মে থাকা ডিফেন্ডার মেহতাব সিংহ।
গত সেমি ফাইনালের অপরিবর্তিত দল নামালেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। কার্ল ম্যাকহিউ, হাভি হার্নান্ডেজ মাঠে নামছেন। বেঞ্চে আছেন ব্রাজিলীয় মার্সেলিনহো।
চলতি আইএসএলে দারুণ ছন্দে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। তবে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দু’বার হেরে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন রয় কৃষ্ণ, প্রীতম কোটালরা। এর মধ্যে গত ম্যাচে মুম্বইয়ের কাছে হেরে যাওয়ার জন্য এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন ডেভিড উইলিয়ামস, মনবীর সিংহরা। সেই হারের বদলা নেওয়ার জন্য রীতিমতো ফুটছে এটিকে মোহনবাগান।
আন্তোনিও লোপেজ হাবাস এই ম্যাচ জিততে পারলেই আইএসএলের ইতিহাসে প্রথম প্রশিক্ষক হিসেবে হ্যাটট্রিক করে বিরল নজির গড়তে পারবেন। অন্য দিকে সার্জিও লোবেরা এটিকে মোহনবাগানকে ফের একবার হারিয়ে দিলে হাবাসের দলের বিরুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলবেন। তাই হাবাসের কাছে আইএসএল-এর এই ফাইনাল যেমন বদলার ম্যাচ, তেমন লোবেরার কাছে শনিবারের ফতোরদা স্টেডিয়ামের ফাইনাল নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার ম্যাচ।