ISL

খারাপ রেফারিং নিয়ে ক্ষুব্ধ এটিকে মোহনবাগান, ফেডারেশনকে ভিডিয়ো ফুটেজ ও কড়া চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ

রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ ছিলই, এবার কড়া চিঠি ও ম্যাচের ফুটেজ দিয়ে প্রতিবাদ জানাল এটিকে মোহনবাগান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২১ ২১:৪০
Share:

রেফারিং নিয়ে ক্ষোভে ফুটছে এটিকে মোহনবাগান ও হাবাস

চলতি আইএসএলে খারাপ রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ ছিলই, এবার কড়া চিঠি ও ম্যাচের ফুটেজ দিয়ে প্রতিবাদ জানাল এটিকে মোহনবাগান। শুধু তাই নয়। একই সঙ্গে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন এটিকে মোহনবাগানের অন্যতম ডিরেক্টর দেবাশিস দত্ত। যদিও এই চিঠিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস।

Advertisement

মঙ্গলবার নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে তিরিকে ফাঊল করার পাশাপাশি রয় কৃষ্ণকে বিপক্ষের বক্সে ফেলে দেওয়ার পরেও সবুজ-মেরুনের অনুকূলে পেনাল্টি দেয়নি রেফারি ক্রিস্টাল জন। যা কোনওমতেই মানতে পারছে না এটিকে মোহনবাগান। তাদের মতে সেই দুটি সিদ্ধান্ত মোহনবাগানের পক্ষে গেলে ম্যাচের ফলাফল বদলে যেত। ম্যাচটা জিততে পারলেই শীর্ষে থাকা মুম্বইয়ের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেতে পারত আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল। পাহাড়ের দলের বিরুদ্ধে হারের পর ১৩ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে এখনও লিগ টেবলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সবুজ মেরুন। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে মুম্বই। হাতে রয়েছে বাকি ৭ ম্যাচ। প্রথম স্থানে থাকা দলের থেকে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছেন প্রীতম, সন্দেশরা। ফলে শীর্ষে ওঠা বেশ কঠিন।

খেলার ৬০ মিনিটে ডিফেন্সের ভুলে প্রথম গোল হজম করে সবুজ-মেরুন। নর্থইস্টকে এগিয়ে দেন মাচাদো। মাচাদোর এই গোল ও রেফারিং নিয়ে অবশ্য বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। কারণ বলটি দখল করার আগে নর্থইস্টের স্ট্রাইকার তিরিকে পুশ করেন, যা মোহনবাগানের পক্ষে ফাউল দিতেই পারতেন রেফারি ক্রিস্টাল জন। এর কিছুক্ষণ পর নর্থইস্টের বক্সে ফিজি তারকাকে ফেলে দেওয়া হয়। এটিকে মোহনবাগানের দাবী সেই ঘটনা এড়িয়ে যান চতুর্থ রেফারি। এই বিষয়ে দেবাশিস দত্ত বিস্ফোরক মেজাজে বলেন, “করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দারুণভাবে আইএসএল আয়োজন করছে এফএসডিএল। তবে রেফারিং খুবই নিম্নমানের। এমন রেফারিং চলতে থাকলে সবাই ভারতীয় ফুটবল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।”

Advertisement

যদিও ফেডারেশনের সচিব সবুজ মেরুন কর্তার অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, “রোজই এমন চিঠি আমাদের কাছে আসে। আসলে রেফারিদের দোষ দেওয়া খুবই সোজা। কিন্তু জৈব বলয়ের মধ্যে এত কম সংখ্যক রেফারি নিয়ে কীভাবে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হচ্ছে সেই খেয়াল অনেকের নেই।” তবে কুশল দাস যাই বলুন দলের কোচ হাবাসও কিন্তু রেফারি নিয়ে সন্তুষ্ট নন। তিনি ম্যাচের শেষে ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে হাবাস বলেন, “মাত্র তিনটি ম্যাচ হেরেছি আমরা। পুরো লিগটাই তো হেরে বসে নেই। রেফারিদের কাছ থেকে আরও একটু পেশাদারি মনোভাব আশা করি। অন্য দলগুলো যেখানে পাঁচ-ছটা করে পেনাল্টি পেয়েছে, সেখানে আমাদের এখনও পর্যন্ত মাত্র একটা পেনাল্টি দেওয়া হয়েছে! কারণটা আমি বুঝিনা!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement