ত্রাতা: হার বাঁচিয়ে ত্রিয়াদিসের সঙ্গে গিয়ান (বাঁ দিকে)। আইএসএল
বছরের শেষ ম্যাচেও ছবিটা বদলাল না কেরল ব্লাস্টার্স শিবিরে। শনিবার ঘরের মাঠে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসির বিরুদ্ধে এগিয়েও জয় অধরা থেকে গেল রাফায়েল মেসিদের।
এটিকে-কে হারিয়ে আইএসএলে দুর্দান্ত শুরু করেছিল কেরল। কিন্তু তার পরেই ছন্দপতন। আর কোনও ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। শনিবার কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ছ’মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল কেরল। কিন্তু নর্থইস্টের গোলরক্ষক শুভাশিস রায়চৌধুরী এগিয়ে এসে বল তুলে নেন কেরলের সত্যসেন সিংহের পা থেকে। দু’মিনিট পরে বঙ্গ গোলরক্ষকের জন্যই গোল করতে পারেননি প্রশান্ত কারুদাথাকুনি।
কেরলের আক্রমণের ঝড় সামলে ১১ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায় নর্থইস্ট। কিন্তু শরীর শূন্যে ভাসিয়ে আসামোয়া গিয়ানের হেড বাঁচান কেরল গোলরক্ষক টি পি রেহনেশ। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে বার্থোলোমিউ ওগবেচে পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে দেন কেরলকে। যদিও স্বস্তি দীর্ঘ স্থায়ী হয়নি তাঁদের। ৫০ মিনিটে পেনাল্টি থেকেই গোল করে সমতা ফেরান নর্থইস্টের গিয়ান। এই ড্রয়ে কেরল, নর্থইস্ট দু’দলই খেতাবি দৌড়ে পিছিয়ে পড়ল। ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে কেরল। এক ম্যাচ কম খেলে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে নর্থইস্ট ইউনাইটেড।
প্রথম জয়ের খোঁজে মুম্বই: ঘরের মাঠে এ বারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তিনটি ম্যাচ খেলে একটিতেও জেতেনি মুম্বই সিটি এফসি। বর্ষশেষে শৌভিক চক্রবর্তীরা ফের নিজেদের মাঠে নামছেন হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে।
ফিল ব্রাউনের দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে চব্বিশ ঘণ্টা আগে মুম্বই কোচ হর্হে কোস্তা বলেছেন, ‘‘আমরা ঘরের মাঠের চেয়ে বাইরের বেশি পয়েন্ট পেয়েছি। সেই ধারা কাল থেকেই বদলাতে হবে। দেখাতে হবে ঘরেও আমাদের শক্তি বেশি।’’ মুম্বই কোচের সুবিধা, তাঁর দলের সেরা গোলদাতা মহম্মদ আমিনে ইতিমধ্যেই চার গোল করে ফেলেছেন। গোলের জন্য তাঁর দলে আরও বেশ কয়েক জন আছেন। তবে মুম্বই পাচ্ছে না পাওলো মাচাদো এবং রওলিন বর্জেসকে। পর্তুগিজ মিডিয়ো সম্ভবত সারা বছরের জন্য বাইরে চলে গেলেন। অন্য দিকে নেস্তর গর্দিলো যোগ দেওয়ায় হায়দরাবাদ শক্তিশালী হয়েছে। এ বারের প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত ১৯টি গোল খেয়েছে ফিল ব্রাউনের দল। তাদের রক্ষণ কতটা সামলাতে পারে মুম্বইকে, সেটাই দেখার।
রবিবার আইএসএলে: মুম্বই বনাম হায়দরাবাদ (সন্ধে ৭-৩০, স্টার স্পোর্টস টু চ্যানেলে)।