যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে অনুশীলন।—ফাইল চিত্র।
আন্তোনিয়ো হাবাসের সামনে ম্যাচ জিতে লিগ শীর্ষে ওঠার সুযোগ। ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসি-র টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত থাকার হাতছানি। এটিকে দশ ম্যাচে ১৯ গোল করেছে। যার ১৩টি রয় কৃষ্ণ (৮) এবং ডেভিড উইলিয়ামস (৫) জুটির। উল্টোদিকে হর্হে কোস্তার দল ১০ ম্যাচে ১৭ গোল খেয়েছে। মুম্বই রক্ষণের অবস্থা ভয়াবহ। ফলে আজ, শনিবার ঘরের মাঠে প্রতীক চৌধুরী, শুভাশিস বসুদের অগ্নিপরীক্ষা। দেখার, রয়-উইলিয়ামস জুটিকে তাঁরা থামাতে পারেন কি না।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে হাবাস-বাহিনীর আত্মবিশ্বাসী। শুক্রবার যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে বৃষ্টির মধ্যে ঘণ্টাখানের অনুশীলন করিয়ে রাতে মুম্বই পৌঁছেছে এটিকে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে প্রীতম কোটালদের নিয়ে বিমান ছাড়ে। আগেই অবশ্য সাংবাদিক সম্মেলন করে মুম্বই কোচ বলেছেন, ‘‘এটিকের শক্তি অজানা নয়। ওরা কখনও তিন রক্ষণে খেলে, কখনও চার। সব পরিস্থিতির মোকাবিলায় আমার রণনীতি তৈরি।’’ পর্তুগিজ কোচের গলায় জোর বাড়ার কারণ, তাঁর দলের মোডু সোগু শেষ ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন। তবে মুম্বই ধাক্কা খেয়েছে তাদের মিডিয়ো পাওলো মাচাদো চোট পেয়ে পুরো মরসুমের জন্য বাইরে চলে যাওয়ায়। যা স্বস্তি দিচ্ছে হাবাসকে। এটিকে কোচ বলেছেন, ‘‘মাচাদো দুর্দান্ত ফুটবলার। প্রতিপক্ষ কোচ হিসেবে ও না থাকায় অবশ্যই আমি খুশি। কিন্তু আমিও আগুস গার্সিয়ার মতো ফুটবলারকে পাচ্ছি না। তাই পুরো ব্যাপারটা সমান-সমান ক্ষতি হিসেবে ধরতে হবে।’’
মুম্বই তাদের স্টপার সার্থক গোলুইকেও হয়তো পাবে না চোটের জন্য। হাবাসের দলে অবশ্য চোটের তালিকা দীর্ঘ। এদু গার্সিয়া, প্রণয় হালদার, আনাস এডাথোডিকা চোটের জন্য নেই। রক্ষণ সামলানোর জন্য আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে খেলা ভিক্টর মনখিল আদেবা দলের সঙ্গে গেলেও তাঁকে খেলানো নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ আইএফএ-তে নাম নথিভুক্ত হয়ে গেলেও জর্জিয়ার পুরনো ক্লাব থেকে ছাড়পত্র এ দিন রাত পর্যন্ত এসে পৌঁছয়নি। সে জন্য চিন্তিত এটিকের স্পেনীয় কোচ। তিনি বলেছেন, ‘‘মুম্বই ভাল দল। ওদের গোল করার লোক আছে। যারা আমাদের রক্ষণকে সমস্যায় ফেলবে। তবুও আমাদের লক্ষ্য তিন পয়েন্ট।’’ যুবভারতীতে এটিকে বনাম মুম্বইয়ের খেলা ড্র হয়েছিল। শেষ মুহূর্তের গোলে হার বাঁচিয়েছিল এটিকে। এ বার কি হয়, সেটাই দেখার।
শনিবার আইএসএল: মুম্বই সিটি এফসি বনাম এটিকে (মুম্বই রাত ৭-৩০)।